1 মিনিটে পড়ুন Updated: 22 Aug 2023, 03:32 PM ISTChiranjib Paul
পড়ুয়ার মৃত্যুর পর প্রথম থেকে র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি হস্টেল থেকে একটি হাফ প্যান্ট এবং গেঞ্জি উদ্ধার হয়েছে। একাধিক পড়ুয়া দাবি করেছেন ওই গেঞ্জি এবং হাফ প্যান্ট মৃত ছাত্রের। ৯ অগস্ট ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয় বিবস্ত্র অবস্থায়। তবে কি র্যাগিং হয়েছে মানল পুলিশ?
যাদবপুরের মেন হস্টেল
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যু মামলায় র্যাগিংয়ের ধারা জোড়ার আবেদন করল পুলিশ। মঙ্গলবার এই মামলায় ধৃত সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ফের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়।
এদিন সওয়াল জবাবের সময় ২০০০ সালে প্রবর্তিত পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান র্যাগিং নিষিদ্ধ আইনের ৪ নম্বর ধারা প্রয়োগের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। এই আবেদনের মধ্যে দিয়ে পুলিশ কার্যত স্বীকার করে নিল র্যাগিং কারণে যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে তারা।
পড়ুয়ার মৃত্যুর পর প্রথম থেকে র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি হস্টেল থেকে একটি হাফ প্যান্ট এবং গেঞ্জি উদ্ধার হয়েছে। একাধিক পড়ুয়া দাবি করেছেন ওই গেঞ্জি এবং হাফ প্যান্ট মৃত ছাত্রের। ৯ অগস্ট ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয় বিবস্ত্র অবস্থায়।
মামলার শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেন, তিনি অত্যাচারের আন্দাজ করেছেন। জেরা সময় অভিযুক্তদের বয়ানে নানা অসঙ্গতিও মিলেছে। এই ঘটনায় এফআইআরে ইতিমধ্যে ৩০২ ধারা এবং ৩৪ নম্বর ধারা যুক্ত করেছিল পুলিশ। এ বার এই মামলায় ধৃতদের বিরুদ্ধে র্যাগিং বিরোধী আইন যুক্ত করার আবেদন করল পুলিশ।
৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ১০ অগস্ট ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ, র্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এঁদের মধ্যে ১২ জন যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় জড়িতে সন্দেহে ধৃত। হস্টেলের গেটে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জয়দীপ ঘোষ নামে এক প্রাক্তনীকে শনিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি র্যাগিংয়ের অভিযোগ আনল।
বিরোধী দলনেতাকে থানায় তলব
ছাত্রমৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সামনে বিজেপি যুবমোর্চার অনুষ্ঠানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। বিজেপি বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনই এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ইমেল মারফত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। আরও বিবরণের জন্য বিরোধী দলনেতার সহযোগিতা চেয়ে তাঁকে থানায় তলব করা হয়েছে।