অবশেষে তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকাদের মনের ইচ্ছাই পূরণ হল। তাঁরা চেয়েছিলেন স্পিকারই যেন তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। হলও সেটাই। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথবাক্য পাঠ করালেন। রাজ্যপাল নিযুক্ত যে প্রতিনিধি অর্থাৎ ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁদের বিধায়ক হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করাননি। কিন্তু জট কি কাটল?
রাজ্যপাল বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে খবর। রাজ্যপাল এই শপথবাক্য পাঠকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন।
কার্যত স্পিকার যখন বিধানসভায় উপস্থিত তখন কীভাবে ডেপুটি স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাবেন তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। ডেপুটি স্পিকার নিজেও এই কাজ করতে চাননি। এরপরই ঠিক করা হয় স্পিকার নিজেই এই শপথবাক্য পাঠ করাবেন। ডেপুটি স্পিকার নিজেই অনুরোধ করেন। এরপর আর কোনও বাধা রইল না।
রাজ্যপাল কী জানিয়েছেন?
এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দাবি করেছেন এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অসাংবিধানিক। এনিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিচ্ছেন তিনি। রাজভবনের পক্ষ থেকে এনিয়ে বলা হয়েছে ডেপুটি স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্পিকারই শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথবাক্য পাঠ করার সময় জয় বাংলা স্লোগান তোলেন তৃণমূলের বিধায়করা।
কিন্তু রাজ্য়পাল এই শপথগ্রহণের জন্য ডেপুটি স্পিকারকে নিয়োজিত করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও কেন স্পিকার শপথ গ্রহণ করালেন? এনিয়ে স্পিকার জানিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন চালু আছে। সেকারণেই রাজ্যপালের চিঠি মান্যতা পেল না। নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাছাড়া স্পিকারের উপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকার এই কাজ করতে চাননি বলে তৃণমূলের দাবি।
আপাতত জুন মালিয়ার আসনে বসছেন সায়ন্তিকা। আর রেয়াতের জন্য় বরাদ্দ হল নতুন আসন। সব মিলিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে গত একমাস ধরে একের পর এক ঘটনাপ্রবাহ হয়েছে।
গত এক মাস ধরে কী কী হল?
এর আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শপথের জন্য তাঁদের ডেকে পাঠান রাজভবনে। পাল্টা ওই দুই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলছিলেন বিধানসভাতেই তাঁরা শপথ নেবেন। তাই সেখানে আসুন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। এরপরই বিধানসভা সিঁড়িতে ধরনায় বসে পড়েছিলেন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। বিরোধী দলের বিধায়করা বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিক্ষোভ দেখিয়ে থাকেন। সেখানে শাসকদলের দুই নবনির্বাচিত বিধায়ককে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধরনায় বসতে দেখে বিধানসভা চত্বরে আলোড়ন পড়ে যায়।
তবে অবশেষে শুক্রবার শপথ নিলেন তাঁরা। দুই বিধায়কই শপথ নিলেন। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার নয়, শপথবাক্য পাঠ করালেন স্পিকার।
কী বললেন সায়ন্তিকা?
আমি ধন্যবাদ জানাব সকলকে। বলব সত্যমেব জয়তে।