সরকারি কাজের অগ্রগতির জন্য তৈরি হয়েছে অ্যাপ। আর সেসবের তথ্য যাচাই করতে ৮ জন অফিসারের একটি দল গঠন করল রাজ্যের অর্থ দফতর। কারণ কাজ না হওয়া, একই কাজ দু’বার করতে গিয়ে অর্থ নষ্ট, সরকারি কাজে সময় নষ্ট যাতে না হয় তার জন্যই এই পদক্ষেপ করল নবান্ন। এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে সম্প্রতি নানা দফতরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ৮ সদস্যের টিমের কাজ হবে, অ্যাপ মারফত আসা তথ্যগুলি যাচাই করা, যাচাইয়ের পর কী পদক্ষেপ করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা সেটা তদারকি করা।
নবান্ন সূত্রে খবর, কদিন আগেই রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে অ্যাপ চালু করা হয়েছিল। তারপর বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও অফিসার সরকারি কাজ পরিদর্শনে গেলে তাঁকে জিপিএস অন করে রাখতে হবে। তার ফলে নবান্নে বসে অফিসারদের অবস্থান জানা যাবে। তাই এবার বাড়িতে বসে রিপোর্ট জমা দিতে পারবেন না অফিসাররা। সরকারি কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারকে পৌঁছে যেতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। সেখান থেকেই তাঁকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য অ্যাপে আপলোড করতে হবে। সরকারি কাজে দেরি যাতে না হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ফ্যাশন শোয়ের মঞ্চ মাতালেন মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, র্যাম্পে হেঁটে নৃত্য করে দিলেন বার্তা
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভ্যান্স সেলে নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। সেইসব খতিয়ে দেখে দ্রুত সেসবের সমাধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর অন্যান্য প্রকল্পের কাজও দ্রুত শেষ করতে হবে। কারণ ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন আছে। তাই সরকারি প্রকল্পের কাজকর্ম দ্রুতগতিতে শেষ করতে চাইছে নবান্ন। তাই শুরু হয়েছে তৎপরতা। সরকারি অফিসাররা ধীর গতিতে কাজ করার জেরে প্রকল্পের কাজে দেরি হচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাই নির্বাচনের আগে কোনও খামতি থাকুক চাইছে না রাজ্য। তাই অ্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলার বাড়ির কাজ থেকে শুরু করে পথশ্রী, দুয়ারে রেশন, জল জীবন মিশন, সামাজিক প্রকল্প এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের ক্ষেত্রেও এগিয়ে থাকতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ৮জন অফিসারদের মধ্যে রয়েছে একাধিক দফতরের বিশেষ সচিব, একাধিক অতিরিক্ত সচিব। এই অফিসারদের বেশিরভাগই ওএসডি পদে কর্মরত রয়েছেন। পঞ্চায়েত থেকে গ্রামোন্নয়নের কাজও তড়িঘড়ি করতে হবে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই চিঠিতে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়েছেন। তাই সেসবও যাতে দ্রুততার সঙ্গে হয় সেটাও দেখবে এই টিম।