তিনি আসতে পারেন আগে থেকে কি জানত তৃণমূল নেতৃত্ব? কেন শেষ লগ্নে এলেন? স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা মুকুল রায়ের ছেলে তাঁকে মঞ্চে ওঠার জন্য নিয়ে যান । তিনি কি উঠেছিলেন মঞ্চে? না কি নিচে বসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন?
একুশে জুলাইয়ের সভার প্রায় শেষলগ্নে মঞ্চের কাছে হাজির মুকুল রায়। তিনি যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন প্রতিটা একুশের সভায় মঞ্চেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। মাঝে দল ছেড়ে দেওয়ার পর ফের তাঁকে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে দেখা যায় গত বছর। তবে সেবার তিনি মঞ্চে ওঠেননি। নিচে বসে পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলেই ফিরে যান তিনি। এদিন সাদা গাড়ি করে মঞ্চের পিছন দিকে নামেন তিনি। তাঁকে নামতে দেখেই এগিয়ে যান সেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু। ধরে তাঁকে মঞ্চে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু মঞ্চে ওঠেননি তিনি।
সভা শেষ হলে তিনি গাড়ি করে ফের বাড়ির দিকে রওনা দেন। তাঁর পরিচিত কেউ কেউ শারীরিক কুশল জানতে চান। উত্তরে মুকুল রায়ে জানান, তিনি এখন ভালোই আছেন। তবে বাড়ি থেকে বিশেষ বেরোন না বলেই জানান তিনি। পরিচিতদের বাড়িতে আসতে বলেন।
সেই সময় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী দেখা হয়েছে? উত্তরে মুকুল রায় বলেন, ‘আমার সঙ্গে দেখা হয়েছে। তবে কথা হয়নি।’
পরে ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে বাবার হাঠৎ আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাবা অসুস্থ। তবু তিনি একশ জুলাইয়ের সভায় আসতে চেয়েছিলেন। তাঁকে এনেছিলাম। খানিকক্ষণ থেকে তিনি আবার বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।’ তবে কী দলের কাছে খবর ছিল মকুল রায় আসতে পারেন। সূত্র বলছে, শুভ্রাংশুই বাবার আসার ইচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে জানিয়েছিলেন। তিনি অনুমতি দেওয়াতেই মুকুল রায়কে আনা হয়। তবে বিষয়টি গোপনীয়তার মধ্যেই রাখা হয়েছিল।