মোমিনপুর, একবালপুরকাণ্ডকে ঘিরে এখনও বাংলা জুড়ে নানা চর্চা। একবালপুরকাণ্ডে সিট গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, একবালপুরকাণ্ডে ৪৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। কোনওখানে কোনও সমস্যা নেই। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। এভাবেই আশ্বাস্ত করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক কিছু ছড়ানোর ব্যাপারেও তিনি সতর্ক করে দেন।এদিকে সেদিনের ঘটনায় একাধিক পুলিশ কর্তা জখম হয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার দেখা যাক ঠিক কী বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশে?এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে রাজ্যকে পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজ্যকে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।এদিকে একবালপুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত হবে কি না তা ঠিক করবে কেন্দ্র। এনিয়ে ১৫দিনের মধ্য়ে ঠিক করবে কেন্দ্র। রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।তবে সূত্রের খবর, একবালপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশ অনুসারে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এলাকায় যাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখে সেব্যাপারে কলকাতা পুলিশকেই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে আদালত।এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।