রবিবার ইস্ট বেঙ্গল – মোহনবাগান ডার্বি আয়োজন করতে কেন্দ্রের সাহায্য চাইতে পারতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা না করে ম্যাচ বাতিল করে তিনি ফের প্রমাণ করলেন তিনি একজন ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার এই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে খেলা চলে গেল এটা পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের কাছে লজ্জার।
আরও পড়ুন - শ্মশানে আমার মেয়ের বডির আগে ৩টে বডি ছিল…, বিস্ফোরক দাবি করলেন নির্যাতিতার বাবা
পড়তে থাকুন - মুখ্যমন্ত্রী কি জনগণকে ভয় পাচ্ছেন? নিষেধাজ্ঞার শহরে প্রশ্ন তুললেন কন্যাহারা পিতা
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আবার প্রমাণিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রী হিসাবে ব্যর্থ। প্রথমত খেলা পরিচালনা করতে পারেন না। দ্বিতীয়ত এটা রাজ্যের লজ্জা যে খেলাটা চলে গেল ঝাড়খণ্ডে। আর যদি না পারবেন, অমিত শাহ জিকে চিঠি লিখতে পারতেন যে কেন্দ্রীয় আধাসেনা দিয়ে খেলাটা করুন। এরাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয় আধাসেনা দিয়ে। এখনও পশ্চিমবঙ্গে কয়েকশ কোম্পানি আধাসেনা রয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা রোখার জন্য।’
রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ছিল মরশুমের প্রথম ডার্বি ম্যাচ। ডুরান্ড কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্টেডিয়ামে গণবিক্ষোভের আশঙ্কায় শনিবার সেই ম্যাচ বাতিল করে দেয় বিধাননগর পুলিশ। এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় রবিবার স্টেডিয়ামের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা। ওদিকে পুলিশের তরফে রবিবার বিকেলে তাদের স্টেডিয়ামের সামনে আসতে বারণ করে ফোন করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী স্টেডিয়ামের চারিদিকে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন - ‘আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই ঠিক মতো তদন্ত করলে মমতা ব্যানার্জি অ্যারেস্ট হবেন’
তাতেও দমে যাননি ফুটবলপ্রেমীরা। রবিবার বিকেলে এক অভূতপূূর্ব দৃশ্য দেখে রাজ্যবাসী। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা একযোগে আরজি কর কাণ্ডের সুবিচারের দাবিতে সরব হন ইএম বাইপাসের ওপর। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এক যোগে স্লোগান দিতে থাকেন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। এরই মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভরত ইস্ট-মোহন সমর্থকদের ওপর লাঠি চালাতে শুরু করে পুলিশ। তবে তাতেও ময়দান ছাড়েননি আন্দোলনকারীরা। গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যান তারা।