অস্বাভাবিক মৃত্যু। বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের আগের পক্ষের পুত্র প্রীতম দাসগুপ্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু। সাপুর্জি আবাসনের ই ব্লকের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর নিথর দেহ।
গোটা ঘটনায় রহস্য একেবারে চরমে উঠেছে। ২৬ বছর বয়সি সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম আইটি সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। যেদিন মা রিঙ্কুর বিয়ে হয়েছিল সেদিন তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন তিনি খুশি। কিন্তু তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন না। তবে এই কয়েকদিন কী এমন হল যে মৃত্যু হল রিঙ্কুর ছেলের?
গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
এবিপি আনন্দের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে রিঙ্কু মজুমদারের মামা ফোনে বলেছেন, কালকে আসার কথা ছিল। কিন্তু অফিস থেকে এসে টায়ার্ড হয়ে পড়েছিল। ফোনে বলল সকালে আমি রাস্তায় দাঁড়াব। আমায় তুলে নিও। আমি বললাম ঠিক আছে ওখানে দাঁড়াবি আমি তুলে নেব। তারপর সকালে যখন ফোন করলাম …ভাবলাম হয়তো ঘুমোচ্ছে। তারপর খবর পেলাম এই ঘটনা হয়েছে। তবে মা বিয়ে করায় খুবই খুশি ছিল। কোন বদল দেখিনি ওর মধ্য়ে। খুশি বেশি করে ছিল বিয়ে হওয়ার খবরে। বলেন রিঙ্কুর মামা।
সূত্রের খবর, সকালে মামার সঙ্গে দুর্গাপুরে যাওয়ার কথা ছিল প্রীতমের। তার আগেই এল এই খবর।
সকাল ১০টা নাগাদ রান্নার মহিলা প্রতিবেশীদের খবর দেন বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় রয়েছেন প্রীতম।। খালি গা। হাফ প্যান্ট পরা। পাশে বসে রয়েছে বন্ধু। সেই বন্ধু পা ডলছিলেন বলে খবর। আর এক বান্ধবী ছিলেন ওই ফ্ল্যাটে। তিনি কান্নাকাটি করছিলেন।
সূত্রের খবর সোমবার সন্ধ্যের পরে ফ্ল্যাটে চলে এসেছিলেন প্রীতম। তারপরে কী ঘটনা হল সেটাই রহস্যের।
সূত্রের খবর সকালে খবর পাওয়ার পরে ফ্ল্যাটে এসেছিলেন রিঙ্কু। ছেলের বিপদের খবর পেয়ে তিনি অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্য়ে ছিলেন।
সূত্রের খবর, ১০টা ৫০ নাগাদ প্রীতমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। গাড়িতে ছিলেন তিনজন। প্রাইভেট কারে করে নিয়ে আসা হয়েছিল প্রীতকমকে। প্রীতমকে অচৈতন্য় অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। গাড়িতে দুজন মহিলা ও একজন পুরুষ ছিলেন। হাসপাতালের তরফ থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে এরপর বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে য়াওয়া হয়।
পরতে পরতে রহস্য। কীভাবে মৃত্য়ু হল প্রীতমের। মায়ের বিয়ের পরে কি কিছুটা একলা হয়ে গিয়েছিলেন? অভিমান হয়েছিল? কিন্তু সেটা প্রকাশ্যে বলতে পারছিলেন না? দূরে সরে যাচ্ছিলেন মা? অনেক প্রশ্ন। উত্তর খুঁজছেন অনেকেই।