মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রিপোর্টে মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্তে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে সীমান্তবর্তী এলাকায় চরমপন্থা মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তেমন হলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে কেন্দ্রের বিবেচনা করা উচিত বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর গত ১৮ এপ্রিল উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কথা বলেন স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ আধিকারিকের সঙ্গে। সেই কথপোকথনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, মুর্শিদাবাদে সীমান্তবর্তী এলাকায় হিন্দুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প তৈরির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্য পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলে জানিয়েছেন আক্রান্তরা। এছাড়া সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় ধর্মীয় চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়েছে। সেখানে হিংসার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে পদক্ষেপ করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। তেমন হলে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যে ৩৫৬ ধার প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে দাঙ্গা শুরু হয় মুর্শিদাবাদ জেলায়। সেখনে সামসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতিতে হিন্দুদের বাড়ি - দোকান নির্বিচারে ভাঙচুর করে উন্মত্ত জঙ্গিরা। সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে বাড়ি থেকে টেনে বার করে কুপিয়ে খুন করা হয় পেশায় মূর্তি শিল্পী বাবা ও ছেলেকে। অভিযোগ, বার বার পুলিশকে ফোন করেও দীর্ঘক্ষণ সাহায্য পাননি আক্রান্তরা। এমনকী প্রাণ বাঁচাতে গঙ্গা নদী পার করে মালদার বৈষ্ণবনগরে আশ্রয় নেয় বহু হিন্দু পরিবার। ওই ঘটনার পর মুর্শিদাবাদে গিয়ে আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল।