রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই গ্রেফতারি এড়াতেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। নারদ কাণ্ডের অভিযোগে রাজ্যের দুই মন্ত্রীকেও নিজাম প্যালেসে নিয়ে এসে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে গ্রেফতারের খবর শোনামাত্রই স্বামীর পাশে দাঁড়াতে নিজাম প্যালেসে এলেন তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। যদিও যাঁর জন্য সব ছেড়েছিলেন শোভন, সেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়নি আজকে।শোভন চট্টোপাধ্যায়দের গ্রেফতার হওয়ার পরই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে আসেন রত্না। কোনও কথা না বলে সোজা ভিতরে ঢুকে যান তিনি। তবে যাওয়ার আগে জানান, ‘বেশি কিছু বলতে চাই না। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’ এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে এই সিবিআই গ্রেফতার কী আবার ভাঙা সংসার জোড়া লাগাবে? ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়?উল্লেখ্য, বিবাহবিচ্ছেদ না হলেও দীর্ঘদিন আলাদা থাকেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের দু’জনের সম্পর্কের টানাপোড়েনে নাম জড়িয়েছিল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকী শোভন–বৈশাখী যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে নামেন রত্না। বেহালা পূর্ব থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়ে জয়লাভ করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। আর এবার স্বামীর বিপদে পাশে দাঁড়ালেন তিনি।এখন রাজ্য–রাজনীতিতে এই ঘটনায় হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি না নিয়েই এই গ্রেফতার করা হয়েছে। যা একেবারেই অসাংবিধানিক। তাহলে শুভেন্দু অধিকারী কিংবা মুকুল রায়কে ছাড় কেন? প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যে শহরের রাজপথে নেমে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।