এক মামলায় অধ্যক্ষ পদ থেকে সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। অধ্যক্ষ ডিভিশন বেঞ্চের গেলে, তাঁকে ওই পদে বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মূল মামলা শুনছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অধ্যাপিকা অচিনা কুণ্ডুকেও অপসারিত করা হয়েছিল।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে এবার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাঁচ বছরের পুরনো একটি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওই কলেজের গভর্নিং বডি’র এক প্রাক্তন সদস্য নীল বসু ২০১৮ সালে সুনন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। আবার সম্প্রতি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজ নিয়ে আরও একটি মামলা হয়েছে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন পুরনো মামলা উত্থাপন করেন নীল বসু। কলকাতা পুলিশ সেই তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবার সিআইডি’কে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
এদিকে অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে নথি জাল করে কলেজের শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড সেকশন ওই মামলার তদন্তের কিনারা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তদন্ত করার ভার সিআইডি’কে দেওয়া হল। এই কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে জেরা করা এবং তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারীরা তাঁকে হেফাজতেও নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১৮ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেদিন তদন্ত কতটা এগোলো সেটার বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিআইডিকে।
অন্যদিকে আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে। জালিয়াতির অভিযোগও উঠেছিল। ২০১৮ সালে চারু মার্কেট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন নীল বসু। কিন্তু পুলিশের রিপোর্ট দেখে আদালত মনে করছে, এক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মানেনি পুলিশ। তাই সিআইডি’কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে যে সব ধারায় মামলা করা হয়েছে সেসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্তত ১০ বছরের সাজা হতে পারে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দ্রুত তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? সম্প্রতি এক মামলায় অধ্যক্ষ পদ থেকে সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে অধ্যক্ষ ডিভিশন বেঞ্চের গেলে, তাঁকে ওই পদে বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মূল মামলা শুনছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী অধ্যাপিকা অচিনা কুণ্ডুকেও অপসারিত করা হয়েছিল। এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠলে তা খারিজ করে বিচারপতি বলেন, ‘এটা স্থানীয় মামলা। তাই সিআইডি তদন্ত উপযুক্ত। তবে সব তদন্তকারী সংস্থার প্রতি আমার আস্থা রয়েছে।’