খাস কলকাতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চাকরি করেন বিশেষভাবে সক্ষম এক অফিসার। কিন্তু ওই অফিসারকে নানাভাবে হেনস্থা করেন কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রথমে সেটা সহ্য করে নিচ্ছিলেন ওই অফিসার। কিন্তু যেদিন সেটা সহ্যের সীমা অতিক্রম করল সেদিন তিনিও আর কোনও পথ খোলা না দেখতে পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আর তখনই চরম অমানবিকতায দেখে ক্ষুব্ধ হয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইগোর জেরেই ওই অফিসারকে বছরের পর বছর অমানবিকতার শিকার হতে হয়েছে।
ওই অফিসারকে নানা কটূ কথা এমনিতেই হজম করতে হতো। যেহেতু তিনি নরম প্রকৃতির মানুষ ছিলেন তাই তাঁকে নানাভাবে অপমান করা হতো বলে অভিযোগ। তার পরও পদোন্নতি নিয়ে যা করা হয়েছে সেটা কার্যত অমানবিক। কলকাতা হাইকোর্টের বক্তব্য, ‘এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের একাংশের ইগো সার্বিক ক্ষতি করছে। আর তাঁদের জন্য নিচুতলার অফিসাররাও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।’ তাই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রের অর্থসচিব, মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব এবং ভিজিল্যান্স কমিশনারকে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে এমন অফিসারদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে মামলাকারী ব্যাঙ্ক অফিসারকে হেনস্থায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, তিন সপ্তাহের মধ্যে ব্যাঙ্ককে জরিমানা বাবদ তিন লক্ষ টাকা ওই অফিসারকে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রেসিং ফুটবল’ শুরু, নবান্ন থেকে জোর খেলা কি হবে?