আদিত্য চোপড়ার ধুম সিরিজ হিন্দি সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় এবং উপভোগ করা চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি। ২০০৪ সালে এসিপি জয় দীক্ষিতের চরিত্রে অভিষেক বচ্চন, তাঁর স্ত্রী সুইটি দীক্ষিতের চরিত্রে রিমি সেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর আলি আকবর ফতেহ খানের চরিত্রে উদয় চোপড়ার সঙ্গে পরিচিতি ঘটে । জন আব্রাহাম তখন কবীর নামের প্রতিপক্ষ হিসাবে অনেকের মন জয় করেছিলেন। দুই বছর পর, জয় এবং আলি ধুম ২-তে পুনরায় একত্রিত হন, তাতে হৃতিক রোশন এবং তাঁর অপরাধের সঙ্গী হিসেবে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে দেখা গিয়েছিল।
২০১৩ সালে 'ধুম থ্রি' বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছিল, সেখানে আমির খানকে দ্বৈত ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল, অন্যদিকে ক্যাটরিনা কাইফকে মুখ্য নারী চরিত্রে দেখা গিয়েছিল, তিনি তাক লাগিয়েছিলেন কমলি কমলি গানে। তবে আপনি কি জানেন ধুম থ্রি-তে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থাকার কথা ছিল? আমির এবার মূল চিত্রনাট্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন।
ম্যাশেবলের সঙ্গে আলাপচারিতায় আমির খান জানান, অভিষেক বচ্চনের অনস্ক্রিন স্ত্রী রিমি সেন ওরফে সুইটি দীক্ষিতের 'ধুম থ্রি' ছবিতে ফেরার কথা ছিল। যদিও পরে প্রযোজক আদিত্য চোপড়া এবং লেখক-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ আচার্য মত পাল্টান। আমির লেখেন, 'ধুম থ্রি যেটা হয়েছিল না, ওটা আরও ভালো হতে পারত। কারণ ওখানে একটা চরিত্র ছিল জয় দীক্ষিতের স্ত্রীর চরিত্র, মানে সুইটির চরিত্রটি যেটা এই ফ্রাঞ্চাইজির প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাগে ছিল, ওই চরিত্রটি মূল স্ক্রিপ্টে ছিল। তবে আদি আর ভিক্টরের মনে হয়েছিল যে এই চরিত্রটীর এই ভাগে আর কোনও প্রয়োজন নেই তাই ওটা বাদ দিয়ে দেয়, শুটই করেনি। আমার মতে ওটা ওদের ভুল ছিল। এখন তো বউয়ের চরিত্রটাই নেই। অরিজিনাল স্ক্রিপ্টে ছিল যে ও ওর বউকে ডিভোর্স দেবে, গল্পের শুরু ওটা দিয়েই ছিল।
আমির প্রকাশ করেছিলেন যে সুইটির চরিত্রটি বিপর্যস্ত ছিল কারণ তার স্বামী, মুম্বই পুলিশের একজন কর্মকর্তা, তার জন্য কোনও সময় ছিল না এবং করওয়া চৌথ এবং তার জন্মদিনের মতো তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে তিনি সময় দিতেন না। অভিনেতা শেয়ার করেছেন, 'তিনি খুব রেগে থাকবেন। আর অভিষেক কীভাবে তাকে পটানোর জন্য বলেন, 'একটা চান্স দে আমায়, আর আমাদের বিয়ের এতদিন পরেও যে তোকে নিয়ে হানিমুনে যাইনি এবার ওঠা যাব'। কিন্তু ঠিক তখনই অভিষেক ওরফে জয়ের কাছে মেসেজ আসে যে নতুন কেসের জন্য তাঁকে শিকাগো যেতে হবে, ফলে তিনি দ্বিধার মধ্যে পড়ে যান। বিমানবন্দরে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার আগে জয় ওয়াশরুমে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন, সেখানেই তাঁকে মামলা সম্পর্কে অবহিত করা হবে।
আমির স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে কীভাবে বিরতির পরে, জয়কে ছবিতে মামলা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মূল চিত্রনাট্যে তার মধুচন্দ্রিমা একই সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। ব্যস, একটা টুইস্ট ছিল! সুইটি এতক্ষণ জানত যে জয় একটি মামলায় রয়েছে এবং চোরকে না ধরা পর্যন্ত তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করবে। আমির ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এই পিছনের গল্পটি দর্শকদের জয়ের চরিত্রের সাথে মানসিকভাবে সংযুক্ত হতে সহায়তা করবে। আচ্ছা, এটা দেখতে বেশ মজার গল্প হতে পারত। আপনার কি মনে হয় না? বর্তমানে ভক্তরা ধুম ফোর সম্পর্কে একটি আপডেটের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, যা রণবীর কাপুর এবং শ্রদ্ধা কাপুরকে প্রধান তারকা হিসাবে রাখার গুজব রয়েছে।