আসন্ন পঞ্চায়তে ভোটে লড়াই হবে সিপিএম-তৃণমূলে। বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে ছত্রে ছত্রে আক্রমণ করে শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। দলের বর্তমান অবস্থা বিষয়ক সেই চিঠিতে সায়ন্তনের দাবি, রাজ্য বিজেপিতে ফিরিয়ে আনা হোক ২০১৯-এর মডেলকে।দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে লেখা চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, দলে আদি কর্মীরা ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন। বরং সেই জায়গায় প্রাধান্য পাচ্ছেন তৃণমূল থেকে আসা নেতারা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আসনগুলি দেওয়া হয়েছিল। সেই জায়গায় পুরনো কর্মীদের কঠিন লড়াইয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফল স্বরূপ দুর্গাপুর, পূর্ব, বিধাননগর, পানিহাটি, ব্যারাকপুর, সিঙ্গুর, সিউড়ি, জলপাইগুড়ি, সপ্তগ্রাম, কালনা, ভবানীপুরের মতো আসন হারতে হয়েছে। নেতৃত্বের অযোগ্যতাই এই ভরাডুবির কারণ।সিপিএম প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, দুর্নীতি ইস্যুতে প্রতিদিন বিপাকে পড়ছে শাসকদল। অথচ রাজনৈতিক ভাবে বিরোধিতা করে কোনও লড়াই নেই। অন্য দিকে বামেদের যুব সংগঠন ৩৫ হাজার কর্মী নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে। তাদের একটাও ট্রেন বা গাড়ি ভাড়া করতে হয়নি। তিনি আরও লিখেছেন, দল প্রচন্ড ভাবে সমাজমাধ্যমে সক্রিয়। কিন্তু তাতে কি সাফল্য আসবে? তার মতে, এ ভাবে যদি চলতে থাকে তবে পঞ্চায়েত ভোটে দ্বিমুখী লড়াই হবে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে। বিজেপি নেতা আরও লিখেছেন, দল জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য়াতা হারিয়েছে। বিজেপি এখন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূলের দল।প্রসঙ্গত, ২০২১-এর ডিসেম্বরে বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ গিয়েছিলেন সায়ন্তন। দিলীপ ঘোষ সভাপতি থাকা সময় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গত বিধানসভা ভোটে রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ভোটে উত্তরবঙ্গ জোন সামলেছেন সায়ন্তন। সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব নেওয়ার পর দলে কোনও দায়িত্বেই নেই তিনি। মাঝে দীর্ঘ নীরবতা বজায় রেখেছিলেন। কয়েকদিন আগেই তিনি বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর একটি বক্তব্য সংকলন প্রকাশ করেন। তারপরই এই 'পত্র বোমা'।