বলুন তো, ৪৫-এর বর্গফল কত হবে? সময় বেশিক্ষণ নয়। বলতে হবে ২-৩ সেকেন্ডে। আচ্ছা, যদি এই ২-৩ সেকেন্ডেই বলতে বলা হয়, ৫৬×৫৪ কত হবে, পারবেন? একটু চাপের ডিষয় মনে হচ্ছে? কিন্তু বৈদিক গণিতে এগুলো জলভাত। কারণ বৈদিক গণিতে এই ধরনের হিসেবনিকেশ করতে সময় লাগে ওই ২-৩ সেকেন্ডই। সম্প্রতি অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আয়োজিত হয়েছিল বৈদিক গণিত নিয়ে একটি বিশেষ ওয়ার্কশপ। সেখানে ঠিক এই কথাগুলিই বলছিলেন কোটার বনশল ক্লাসের বিখ্যাত স্যর অরবিন্দ সিং (চিফ অপারেটিং অফিসার, বনশল ক্লাস)।
আরও পড়ুন - যোগাসন সবার জন্য ভালো নয় মোটেই, এড়িয়ে চলুন এই ৩ রোগ থাকলে, নইলে বিপদ
উপর উপর দেখলে বৈদিক গণিত যেন সামান্য গুণ ভাগ যোগ বিয়োগ। এগুলো তো স্কুলের বাচ্চাদের শেখার কথা। বড়রা শিখবে কেন? এখানেই অধিকাংশ মানুষের ভুল ধারণাটা ভাঙিয়ে দিচ্ছেন অরবিন্দ স্যর। তাঁর কথায়, একদম ছোট বাচ্চাদের যেমন বৈদিক গণিত দরকার, তেমনই বড়দের অর্থাৎ যারা চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাদেরও এটি প্রয়োজন। চাকরির পরীক্ষায় অঙ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যাকে অনেকেই ভয় পান। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় একটি পরিচিত লব্জ হল শর্টকাট মেথড। এই শর্টকাট মেথড কিন্তু এসেছে বৈদিক গণিত থেকেই।
আরও পড়ুন - রথযাত্রার দিন বাড়িতে রোপণ করুন এই গাছ! আসবে সমৃদ্ধি
ইভেন্টটি আয়োজনের নেপথ্যে ছিলেন সুরজিৎ বিশ্বাস (প্রেসিডেন্ট ও সিইও, অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল)। তাঁর কথায়, এই ধরনের অঙ্কের ট্রিকস আমাদের মেন্টাল ক্যালকুলেশন অর্থাৎ মনে মনে হিসেবের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। যা কম্পিটিটিভ পরীক্ষায় বিশেষভাবে কাজে লাগে। তাই এলাকার বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের এই বিশেষ ওয়ার্কশপের আয়োজন। এখন ক্লাস নাইন-টেনে পড়াকালীন এর মধ্যে ওরা যা শিখবে, সারাজীবনই তা নানাভাবে কাজে লাগবে।