২০২৩–২৪ এর বাজেটের অনুমান অনুযায়ী এবছর এই খাত থেকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে কালীপুজো, দীপাবলি এবং অবশেষে বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপনের সময় পর্যন্ত এই খাতে রাজস্ব আদায় ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবগারি থেকে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা । প্রতীকী ছবি
করোনা পর্বের পর থেকেই উৎসবের মরসুমগুলিতে আবগারি শুল্কে আয় ক্রমে বেড়েই চলেছে রাজ্য সরকারের। গত কয়েক বছর ধরেই এই ধারা বজায় রয়েছে। উৎসবের সময় আসলেই মদের দোকান, বারগুলিতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। যার ফলে রাজ্যের রাজস্বও বাড়ছে। আর সবকিছুকে ছাপিয়ে এবাবের শেষে আবগারি থেকে রাজ্যের প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বছর ওই খাতে রাজস্বের যে গতি রয়েছে, তাতে উৎসবের মরশুম আসতে না আসতেই এখনও পর্যন্ত আবগারি থেকে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবরের শুরু পর্যন্ত আবগারি থেকে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষের বাজেটের অনুমান অনুযায়ী, এবার এই খাত থেকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে কালীপুজো, দীপাবলি এবং বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপনের সময় পর্যন্ত এই খাতে রাজস্ব আদায় ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী চার মাসে এই সমস্ত উৎসবগুলি থাকার কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে আবগারি শুল্কে রাজস্ব আদায় বাড়বে।
অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসবের মরশুমে বিক্রি আরও বাড়বে। সবমিলিয়ে আগামী মার্চের শেষে আবগারি খাতে রাজ্যের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ১৯ হাজার কোটিতে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। মদের বিক্রি ক্ষেত্রে এবছর সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিয়ার।