তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। সেই আবহে এবার থানার ভিতরে ঢুকে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উঠল বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। আসানসোলের সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে পুলিশকে সরাসরি শাসানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: SDPO অফিসে ২ ঘণ্টা জেরা!বেরিয়েই কেষ্ট গেলেন পার্টি কার্যালয়ে, সেখান থেকে কোথায়?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় ( সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে, বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার কোর কমিটির সদস্য অরিজিৎ রায় ও জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য-সহ আরও কয়েকজন দলীয় নেতা ওই ফাঁড়িতে ঢুকে পড়েন। পরে তাঁরা পুলিশকে তীব্র ভাষায় ধমক দিচ্ছেন ও প্রশ্ন তুলছেন তাঁদের ভূমিকা নিয়ে।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের দলের এক কর্মীর বাড়িতে হামলা চালান তৃণমূলের কর্মীরা এবং তাঁকে মারধরও করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ এই অভিযোগ গ্রহণ করেনি। এমনকী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু তাই নয়, পাল্টা হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নাম নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। অভিযোগ উঠেছে, এই ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে অরিজিৎ রায়রা ফাঁড়িতে পৌঁছান এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন। ঘটনাস্থলের সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তা ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করে।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অরিজিৎ রায় দাবি করেছেন, কোনও রকম শাসানি দেওয়া হয়নি। বরং পুলিশ যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, সেই কথা ‘কঠোর ভাষায়’ মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সালানপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আরমান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের দায়িত্ব। থানায় ঢুকে কেউ এমন আচরণ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (ওয়েস্ট) জাভেদ হোসেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, থানার ভিতরে যেভাবে কথা বলা হয়েছে, তা আইনবিরুদ্ধ এবং আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।