বুধবার মহেশতলার রবীন্দ্রনগরে ভয়াবহ সংঘর্ষ। আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। অশান্তির পরেই মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার দেখা গেল এক্স হ্যান্ডলে তিনি নিজের ডিপিই বদলে ফেলেছেন। এতদিন এক্স হ্যান্ডলে থাকত শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে ডিপি। তবে রবীন্দ্রনগরের অশান্তির পরেই ডিপি বদলে ফেললেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর ডিপি থেকে ছবি সরিয়ে সেখানে এখন দেখা যাচ্ছে তুলসী মঞ্চের ছবি।
সেই সঙ্গেই ফের তিনি রবীন্দ্রনগরের ঘটনায় পুলিশকে একহাত নিয়েছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, পুলিশ এই অশান্তি থামাতে ব্যর্থ। পর্যাপ্ত ফোর্স দিতে পারেনি। শুভেন্দু লিখেছেন, পুলিশ অফিসাররা, লেডি পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছিলেন। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আর পুলিশ এখন বলছে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ঝামেলা। পুলিশকে ধিক্কার জানিয়েছেন শুভেন্দু।
কেন সত্যকে আড়াল করছেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর।
তিনি লিখেছেন, ৪০জনকে গ্রেফতার যথেষ্ট নয়। আপনাদের ব্যর্থতার দায় নিচ্ছেন না কেন?
'শান্তিরক্ষার নাম করে ওদের আড়াল করবেন না। প্রতি জেহাদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। সনাতনী সম্প্রদায় ন্যায় বিচার চাওয়ার কাজ চালিয়ে যাবে।' লিখেছেন শুভেন্দু।
এরপর পুলিশের লেখা একটি পোস্টকে তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। সেখানে পুলিশ জানিয়েছিল, ৪০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৭টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ১৬৩ বিএনএস ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছিল, শান্ত থাকুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াবেন না। যারা অস্থিরতা তৈরি করবেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিল পুলিশ।
বুধবার দুপুর থেকে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল রবীন্দ্রনগর থানা এলাকা।
মহেশতলার সংঘর্ষে একের পর এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনগর থানার ঠিক পিছন দিকে আক্রা ফটক বাজারে কার্যত তাণ্ডব চলেছিল। ইটবৃষ্টিতে পুলিশকর্মীরা আহত হয়েছিলেন। রাস্তায় থাকা বাইকেও অগ্নিসংযোগ করেছিল। পুলিশ কিছুটা পিছু হঠে। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টাও করে। তবে পুলিশকর্মীরা বার বার সংবাদমাধ্যমে তাদের অসহায়তার কথা জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু। তাঁদের তুলসী মঞ্চ মাথায় নিয়েও হাঁটতে দেখা যায়। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রবীন্দ্রনগর থানার আইসিকে অপসারিত ও গ্রেফতার করতে হবে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল যাতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, সেই দাবি সামনে রেখে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন বিজেপি বিধায়করা। সেই সঙ্গেই পুলিশকে একহাত নেন তিনি।