বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা-১১টা হবে। ব্যস্ততম দ্বিতীয় হুগলি সেতু। পুলিশের আনাগোনাও রয়েছে। এমন সময় আচমকাই জলে কিছু পড়ার শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ২৭ বছরের এক তরুণী ঝাঁপ দেন গঙ্গায়। এদিকে সেতু থেকে তিনি গঙ্গার যে অংশ ঝাঁপ দেন সেখানে তখন জল পুলিশের টহলদারি চলছিল। তরুণীকে জলে ঝাঁপ দিতে দেখেই জলপুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তার জেরেই তিনি গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। তবে জলপুলিশের তৎপরতায় তিনি রক্ষা পেয়েছেন। পুলিশ তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। কেন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও অসমের বাসিন্দা এক তরুণ দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল। সেবারও জলপুলিশের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যায় ওই তরুণ। পুলিশ জানতে পেরেছিল ওই তরুণ কাজের সন্ধানে হায়দরাবাদে গিয়েছিল। অতিমারি পরিস্থিতিতে তার কাজ যায়। এরপর কলকাতায় ফিরে আসে সে। কিন্তু এখানেও কীভাবে কোথায় পাবে এনিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু তখনও জল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।