ওই হলিডে হোমের পাশে রয়েছে অমরদীপ পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তির বাড়ি। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে তিনি তাঁর এক আত্মীয়কে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আসেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা হলিডে হোম দখল এবং বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলিডে হোম জবর দখলের অভিযোগ।
পর্যটন প্রিয় বাঙালির কাছে মধুপুরের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলায় অবস্থিত মধুপুর শহর। সেখানেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলিডে হোম রয়েছে। কিন্তু, সেই হলিডে হোমটি জবরদখল করে বেআইনি কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হলিডে হোম দখল হওয়ার অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছিল। কিন্তু, তারপরেও কোনও পদক্ষেপ না করায় এবার হলিডে হোমের আশেপাশের বাসিন্দারা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অভিযোগ জানালেন।
ওই হলিডে হোমের পাশে রয়েছে অমরদীপ পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তির বাড়ি। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে তিনি তাঁর এক আত্মীয়কে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আসেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা হলিডে হোম দখল এবং বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। অমরদীপের অভিযোগ, তিনি আগে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, তৎকালীন রাজ্যপাল হরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় পঞ্চাশের দশকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের জন্য হলিডে হোমটি দান করেছিলেন। পরে ১৯৯০ সালে এই হলিডে হোম খুলে দেওয়া হয়। তবে এরই মধ্যে ২০১৮ সালে হলিডে হোম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের পরেই ওই হোলিডে হোমের দায়িত্বে থাকা কর্মীকে ফিরিয়ে আনা হয়। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। মধুপুর থেকে কয়েকজন বাসিন্দা দাবি করেন ওই সম্পত্তি তাঁদের। তা নিয়ে আদালতে মামলাও চলে। আর এবার ওই হলিডে হোম জবরদখল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।