আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জেরে আরও কড়া হচ্ছে দমদম বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বহুতল নির্মাণের নিয়ম কানুন। এবার থেকে রানওয়ের প্রান্ত থেকে দু’দিকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বহুতল নির্মাণ করতে গেলে লাগবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি। একথা জানিয়ে বিমানবন্দর লাগোয়া পুরসভাগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমান যে পথ দিয়ে রানওয়ের দিকে এগিয়ে আসে তার নীচে বহুতল নির্মাণের বিধিতে কোনও পরিবর্তন হবে কি না তা নিয়েও আলোচনা করছেন বিমানবন্দরের আধিকারিকরা।
আমদাবাদে রানওয়ের সঙ্গে সরলরেখায় অবস্থিত চিকিৎসকদের একটি হস্টেলের ওপর আছড়ে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমান। তার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে রানওয়ের অ্যাপ্রোচ পাথের নীচে বহুতলগুলির ঝুঁকি পুনর্মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। তার জেরেই এবার বিমানের অ্যাপ্রোচ পাথে বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরের অনুমতির পরিধি ১০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ২০ কিলোমিটার করা হয়েছে। একথা জানিয়ে উত্তর দমদম, মধ্যমগ্রাম, বিধাননগর পুরসভাকে চিঠি পাঠিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
দমদম বিমানবন্দরের রানওয়ের দুদিকেই তৈরি হয়েছে একের পর এক বহুতল। অভিযোগ, এর মধ্যে অনেক বহুতলই তৈরি হয়েছে নিয়মের তোয়াক্কা না করে। যার ফলে যেমন ঝুঁকি বেড়েছে বিমানযাত্রীদের, তেমনই ঝুঁকির মুখে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারাও। আমদাবাদের দুর্ঘটনা দেখে টনক নড়েছে সবার। সেখানে ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সঙ্গে যেখানে বিমান আছড়ে পড়েছে সেখানকার ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গুজরাত সরকার। এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েকজন।