খুব শীঘ্রই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। কংগ্রেসের দু’দিনের নবসংকল্প শিবিরে এই কথাই উঠে এসেছে। বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এখানেই উঠে এল প্রদেশ নেতৃত্বে বদলের বিষয়। আর তারপরই শুরু হয়ে গিয়েছে অধীর চৌধুরিকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? কংগ্রেস সূত্রে খবর, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতিকে সিলমোহর দিয়েই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নয়াদিল্লির কাছে এই নিয়ে একাধিক চিঠি জমা পড়েছে। স্বয়ং বীরাপ্পা মইলি অধীরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। রাজ্যে একচ্ছত্র আধিপত্যে প্রদেশ কংগ্রেস চালানোর অভিযোগ রয়েছে অধীরের বিরুদ্ধে। একুশের নির্বাচনে সিপিআইএমের সঙ্গে জোট বেঁধে চলার একচ্ছত্র সিদ্ধান্তের জেরে অধীরকে সরানো হচ্ছে। তাছাড়া কলকাতায় পি চিদম্বরমকে হেনস্তা করাও তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। এমনকী অধীরকে সরিয়ে যাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে তাঁর সঙ্গে চারজন কার্যকরী সভাপতির কমিটি থাকবে।
অধীরকে সরানোর প্রসঙ্গ এল কেন? এখন রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসাবে কলকাতায় রয়েছেন তামিলনাড়ুর সাংসদ চেল্লা কুমার, ওড়িশার নেতা শরৎ রাউত এবং দিল্লির নেতা বি পি সিং। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের লাইন কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। জোট হলে তা তৃণমূল কংগ্রেস না কি সিপিআইএম, কাদের সঙ্গে হবে? সেই প্রশ্ন ওঠে। তখন চেল্লা কুমার বলে দেন, কর্মীদের আবেগকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। নিজেদের তৈরি থাকতে হবে। ৮ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে সংকল্পযাত্রা হবে।