বেশ কয়েকদিনের চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে অবশেষে ছুটি পেলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে দিল্লির এমস হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছাড়া হয়। যদিও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনই কলকাতায় ফিরছেন না তমলুকের বিজেপি সাংসদ। আপাতত দিল্লির সরকারি বাসভবনেই বিশ্রামে থাকবেন তিনি। (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুকে 'শেষ' করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে ইউনুসের পুলিশ? এল নয়া আপডেট)
আরও পড়ুন: কেমন আছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি? দিল্লিতে দেখতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু
কিছুদিন আগে শারীরিক সমস্যার কারণে প্রথমে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই অগ্ন্যাশয়ে (প্যানক্রিয়াস) সংক্রান্ত জটিলতা ধরা পড়ে। একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালানোর পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এ স্থানান্তরিত করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু নিজে থেকে অভিজিতের চিকিৎসা প্রক্রিয়া তদারকি করেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: 'কার্তিক মহারাজ পালিয়ে যাচ্ছেন কেন? এইটুকু দম হল না যে আমি যাই?')
দিল্লির হাসপাতালেও ভর্তি হওয়ার পর তাঁর শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্লুইড বের করতে হয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম, তাতে একাধিক বিভাগীয় চিকিৎসক ছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে তাঁকে আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সেই সময়েই বিজেপির এক সূত্র জানিয়েছিল, তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এইমসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও, কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষও আলাদা করে তাঁর খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি থাকাকালীন শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় চাঞ্চল্যকর রায় দিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরই দল তাঁকে তমলুক কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে এবং তিনি জয়ী হন। এই মুহূর্তে সাংসদ হিসেবে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, শরীরের কথা ভেবে রাজনীতির ব্যস্ততা থেকে আপাতত কিছুদিন দূরে থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।