আবারও কলকাতার বুকে বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে দুর্ঘটনা। শনিবার ভোরে উত্তর কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকায় এক পুরনো বাড়ির একাংশ আচমকাই ভেঙে পড়ে। তার ধাক্কায় পাশের একতলা বাড়িতে থাকা ছ’জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু ও তাদের মায়ের চোট গুরুতর।
আরও পড়ুন: ছাদ ভেঙে পড়ছে - শিক্ষকদের আগেই বলেছিল পড়ুয়ারা, ‘চিড়ে’ খেতে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা
ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সকাল প্রায় ৬টা নাগাদ। কাঁকুড়গাছির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা একটি বহুদিনের পুরনো বাড়ির অংশ আচমকা ভেঙে পাশের বাড়ির ছাদে গিয়ে পড়ে। তখনই বাড়ির ভিতরে থাকা পরিবারটি আহত হয়। স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় মানিকতলার ইএসআই হাসপাতালে। আহত দুই শিশু ও তাদের মাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। অন্য চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে সেটিকে আগেই ‘বিপজ্জনক’ তকমা দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সতর্কতামূলক নোটিসও দেওয়া হয়েছিল বাড়ির বাসিন্দা ও মালিকপক্ষকে। তবে সেই পরামর্শ যে কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে, তা ফের একবার প্রমাণ হল এই ঘটনায়।প্রাথমিক অনুমান, কয়েকদিন ধরেই চলা টানা বর্ষণের জেরেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল বাড়ির গঠন। তার জেরেই ভেঙে পড়ে চাঙড়ের অংশ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। শুরু হয়েছে পরিদর্শন ও বিপজ্জনক অংশ চিহ্নিত করার কাজ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চলতি সপ্তাহেই কলকাতা শহরে এই নিয়ে ছ’টি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাড়িগুলি পুরসভার তরফে আগে থেকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত ছিল। আর প্রতিটি ঘটনার পেছনেই রয়েছে একটাই মিল অবিরাম বর্ষণ। এখন প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র নোটিস ধরিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যায় কি? নাকি প্রয়োজন আরও সক্রিয় পদক্ষেপ প্রয়জন?