পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘বহিরাগত’ তকমা দেওয়ায় এবার তৃণমূলকে পালটা আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন প্রশান্ত কিশোরকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান তিনি। সঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রশ্ন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কি পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে যে দিল্লি থেকে কেউ এলে পাসপোর্ট ভিসা লাগবে।’এদিন তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ শানান দিলীপবাবু। বলেন, ‘আমাদের নেতারা বারবার পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। নির্বাচনের আগে সংগঠনকে মজবুত করবেন। দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাবেন। যারা তাদের বহিরাগত তকমা দিচ্ছেন বাংলার মানুষের ওপর তাদের ভরসা নেই।’ এর পরই প্রশান্ত কিশোরের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন দিলীপবাবু। প্রশ্ন করেন, ‘পিকে কে? পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক? বিহার থেকে বুদ্ধিজীবী এনে তৃণমূলকে ভোট করাতে হচ্ছে।’ দিলীপের প্রশ্ন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো অসম, বিহার, উত্তর প্রদেশে গিয়েছেন। তাহলে কি তিনি সেখানে বহিরাগত?’এখানেই থামেননি দিলীপ। বলেন, ‘ওরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ডেকে আনছে। আমরা আমাদের সর্বভারতীয় নেতাদের ডাকব। ওদের ভোট প্রচারে তো বাংলাদেশের অভিনেতা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছেন।’একই ভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দিল্লি-উত্তর প্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে লোক এলে কি পাসপোর্ট-ভিসা লাগবে? এটা কি পশ্চিম বাংলাদেশ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে? রোহিঙ্গা স্বাগত আর মোদী বহিরাগত?’মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর গোটা রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করে প্রতিটি জোনের দায়িত্ব এক একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে দেওয়া হয়েছে। এর পরই বিজেপির দিল্লির সেই নেতাদের বহিরাগত বলে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত ছত্রীবাহিনী’ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিভাজন তৈরি বা দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা হলে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার একই জায়গায় বসে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করেন।