মধ্যরাতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মধ্যমগ্রাম। রবিবার রাত প্রায় দুটো নাগাদ হাইস্কুলের গেটের সামনে ঘটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। আতঙ্কে এলাকাবাসীরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থল ঘিরে ভিড় জমে যায়। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছেন এক যুবক। তাঁর নাম সচিদানন্দ মিশ্র (২৫)। বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতেন মধ্যমগ্রাম এলাকায়। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বর্ধমান বোমা কাণ্ডে NIA তদন্ত চেয়ে মামলা, নেতাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার তৃণমূলের
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে তাঁকে স্কুলগেটের সামনের বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। হঠাৎই বিকট শব্দে ঘটে বিস্ফোরণ। দৌড়ে আসেন স্থানীয়রা। দেখতে পান, ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর দু’হাতের বেশ কিছু অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে। ব্যাগের ভেতরে জামাকাপড়, মোবাইল চার্জার ও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট মেলার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরকটি ওই ব্যাগেই ছিল। সেটি যুবকের হাতেই ফেটে যায়। যদিও কেন তিনি বোমা নিয়ে এখানে বসেছিলেন, তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। রাতেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বারাসত মহকুমা পুলিশকে। কিছুক্ষণের মধ্যে এসডিপিও অজিঙ্কা অনান্ত ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড ডেকে আনাও হয়। তারা এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালালেও আর কোনও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়নি। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এত রাতে স্কুলগেটের সামনে বসে ওই যুবকের কাছে বোমা থাকার বিষয়টি সন্দেহজনক। প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি কোনও ষড়যন্ত্রমূলক কাজে জড়িত ছিলেন? নাকি ব্যক্তিগত কোনও কারণে এই বিপদ ঘটেছে? ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।