আজ, সোমবার শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট গড়ে তুলতে ১৬,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে সজ্জন জিন্দলের সংস্থা জেএসডব্লিউ এনার্জি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শালবনিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন জিন্দাল গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তারাও। শিলান্যাসের ৪২ মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ৪৮ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে বলে জানানো হয়। এখানেই একদিকে কর্মসংস্থান অপরদিকে বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘোষণায় নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করলেন শালবনি এবং পার্শ্ববর্তী প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ। আর যাঁরা একসময় জমি দিয়েছিলেন বড় কারখানার জন্য। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা বাংলার জন্য ঐতিহাসিক প্রকল্প। এর আগে রাজ্যে এমনটা কখনও হয়নি। আগে লোকে বলত লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। এই প্রকল্পের কারণে পরবর্তী ১০০ বছর বিদ্যুতের সমস্যা হবে না রাজ্যে।’ পরদিন ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার তিনি মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন গোয়ালতোড়ের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট–সহ একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার উন্নতি হলে দেশেরও উন্নতি হবে’, শালবনিতে মমতার পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা জিন্দালের
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে হাজির ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এবং সাংসদ জুন মালিয়া। আর শালবনিতে নেমেই মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে যান জিন্দলদের কারখানার। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘যারা বলে হচ্ছে না হচ্ছে না, তাঁদের বলব এখানে এসে দেখুন। সৌরভ, জুন ঠিকই বলেছে। পূর্ব ভারতে এত বড় প্রকল্প আগে হয়নি। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ কাজ পাবেন। আরও বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে। বাংলার এটা ঐতিহাসিক প্রকল্প। শালবনির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই রাজ্যের ২৩ জেলাই উপকৃত হবে। ১৫ হাজার মানুষজনের কর্মসংস্থান হবে। ১৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। আগামিকাল সোলার প্ল্যান্টের উদ্বোধন করব।’