কসবাকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নেতার কুকীর্তিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। সেই আবহে আরও একটি পঞ্চায়েতে ভোট গঠন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার বিধানসভার মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের লক্ষীনারায়ণপুর উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতে রাজনৈতিক ছবিটা দ্রুত বদলে যেতে চলেছে। বিরোধী জোটে ভাঙন ধরতেই ফের ক্ষমতায় ফিরে আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন করে বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসক দল।
আরও পড়ুন: আবার বড় ভাঙন শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে, চার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে
১৯ সদস্যের এই পঞ্চায়েতে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৮টি আসন। বিজেপি পায় ৫টি, সিপিএম ৩টি, কংগ্রেস ১টি এবং নির্দল প্রার্থীরা ২টি আসন দখল করেন। নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিরোধী শিবির অর্থাৎ সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস ও নির্দলরা একজোট হয়ে বোর্ড গঠন করে। ফলে প্রাথমিকভাবে বিরোধীর আসনে বসতে হয় তৃণমূলকে। কিন্তু জোটের ঐক্য বেশি দিন টেকেনি। নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, মতপার্থক্য ও এলাকা ভিত্তিক টানাপোড়েন ধীরে ধীরে ছাপ ফেলতে শুরু করে। সেই চাপ সামলাতে না পেরেই অবশেষে ভেঙে পড়ল বিরোধী জোট। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিপিএমের দুই সদস্য এবং নির্দলের দুই জন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সহ স্থানীয় নেতৃত্ব।
এই চার সদস্য যোগ দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের মোট আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যেখানে প্রয়োজন ১০টি আসন, সেখানে তৃণমূল এখন তার চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে। ফলে ফের বোর্ড গঠনের দাবি তুলেছে ঘাসফুল শিবির।
অন্যদিকে, জোটের মুখ হিসেবে যিনি পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সেই কংগ্রেস সদস্য শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে প্রশাসনিক কাঠামো কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। তৃণমূল শিবির সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যেই এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। তৃণমূলের দাবি, উন্নয়নের স্বার্থেই নির্বাচিত সদস্যরা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। মানুষ জানেন, এলাকায় কাজ করতে হলে তৃণমূলের হাত ধরাই একমাত্র রাস্তা। পাল্টা বিরোধীদের তরফে এখনও সরকারি প্রতিক্রিয়া না মিললেও স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি ঘিরে জোর জল্পনা।