তৃণমল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ডোমকল। দিনদুপুরে ব্যস্ত রাস্তায় গুলি ছুড়তে দেখা যায় তৃণমূস নেতাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রবিবারের সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যে ব্যক্তি গুলি ছোড়েন, তাঁকে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি আশাদুল শেখ বলে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনায় দু'জন আহত হয়েছেন বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে চায়নি পুলিশ। তবে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, আইন আইনের পথেই চলবে। পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাস্তার ধারে দোকান তৈরি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবুল হোসেনের গোষ্ঠীর সঙ্গে আশাদুলের লোকজনের ‘বিবাদ’ চলছিল। আবুলের অভিযোগ, রবিবার দুপুরে আশাদুলের নেতৃত্বে জনা ১৫ জন এলাকায় ঢুকে পড়েন। পিস্তল উঁচিয়ে রাস্তায় দাপাদাপি শুরু করেন। গুলিবিদ্ধ হন আবুলের ছেলে জনি। আবুল বলেন, ‘আশাদুল আমায় গুলি করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি পিস্তল চেপে ধরে সরে যাই। আমার জামা ছুঁয়ে গুলি চলে যায়। দ্বিতীয় বুলেটটি আমার ছেলের লাগে। অনেকবার গুলি ছোড়া হয়েছে। এমনকী ওঁরা বোম নিয়েও এসেছিলেন।' বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত আশাদুলের সঙ্গে যোগাযাগ করা যায়নি। তবে তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের বলেন, ‘এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। দলের তরফেও শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ করা হবে।’ ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’-এর কথা স্বীকার করলেও রবিবারের ঘটনায় দলের কোনও যোগ ছিল না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল জেলা কো-অর্ডিনেটর অশোক দাস। তৃণমূল পরিচালিত ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান জফিকুল ইসলাম আবার বলেছেন, ‘সরকারি জমির উপর ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকান তৈরি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল।’ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বাংলায় আইন-কানুন যে নেই, তা ডোমকলের ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল।