বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হামেশাই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে তো দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটে ঝুলে থেকেছে। সেই পরিস্থিতিতে তৃতীয় দফার শুরুতেই নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, শিক্ষক নিয়োগ ক্ষেত্রেই মেধাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। লবি করে চাকরি পাওয়া যাবে না।সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মামলা চলার কারণে দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল। সেইসঙ্গে কড়া বার্তা দেন যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও লবিবাজি চলবে না। তিনি বলেন, ‘তাঁদের (শিক্ষকদের) মেধাই, তাঁদের পরিচয়। এ নিয়ে কারও কাছে লবি করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁদের মেধাই তাঁদের সবথেকে পরিচয়। যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন, পরীক্ষায় পাশ করেছেন, পাওয়ার অধিকারী, কোর্টে কেস চলছিল বলে এতদিন আটকে ছিল।’ দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর সোমবার (২১ জুন) আপার প্রাইমারি বা উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকা প্রকাশের আগেই সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর আগেই ১৪,০০০ জন উচ্চ-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ১০,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষককেও পুজোর আগেই নেওয়া হবে। পুজোর আগেই তাঁরা চাকরি পাবেন। আগামী বছর মার্চের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলে আরও ৭,৫০০ শিক্ষক চাকরি পাবেন। অর্থাৎ পুজোর আগে ২৪,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আর আগামী বছর মার্চের মধ্যে মোট ৩২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।