উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলে ভারত-নিউজিল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ দেখায় এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে শোকজ করেছিলেন ডিন। শোকজের প্রতিবাদে ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাসপাতাল। পড়ুয়াদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনায় থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলেছিলেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। এবার মেডিক্যালের ডিন অনুপম নাথ গুপ্তের অপসারণ চেয়ে কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: সেমিনার হলে ম্যাচ দেখায় পড়ুয়াকে শোকজ, ডিনকে ঘেরাও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে
জানা গিয়েছে, সোমবার পড়ুয়াদের একাংশ ডিনের অপসারণ চেয়ে প্রিন্সিপ্যাল ডাক্তার ইন্দ্রজিৎ সাহার কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি, ১২ তারিখের (যেদিন ঝামেলা হয়েছিল) ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও দাবি করেন তাঁরা। ঘটনা প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল তদন্তের আশ্বাস দেন।
তিনি জানান, ডিনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন তারপরে সিদ্ধান্ত নেবেন। উল্লেখ্য, ডিন ডাক্তারি পড়ুয়া সানি মান্নাকে শোকজ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, অনুমতি না নিয়েই খোলানো হয়েছিল হলের দরজা। অথচ পড়ুয়াদের দাবি, সানি মান্নার এ বিষয়ে কিছুই জানা ছিল না। এরপরেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ডিনকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। সেই সময় আরও পড়ুয়াদের অপরপক্ষের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের অভিযোগ ছিল, এই বিষয়ে ডিন তাদের কোনও কথা শুনতে চাননি। যদিও অপর পক্ষের ছাত্রদের অভিযোগ ছিল, তাঁরা কলেজে থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত। সেই ঘটনাতেই ডেপুটেশন দেন পড়ুয়ারা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রিন্সিপাল জানান, সমস্ত ঘটনার তদন্ত হবে। এপ্র সঙ্গে এক পড়ুয়া জানান, সেদিন হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, যখন তারা মার খেয়েছিলেন সেটা হয়েছিল ডিনের সামনে। অথচ তারপরেও তিনি কোনওরকম ব্যবস্থা নেননি। সেটাই তাঁদের কাছে অভিমানের কারণ। প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, দ্রুত তদন্ত কমিটি তৈরি করা হবে।