গ্রীষ্মের দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। গরম পড়তেই বেড়েছে এসির ব্যবহার। আর সেই এসির ভিতর থেকেই উদ্ধার হল আস্ত একটি সাপ! তা দেখার পর রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন বাড়ির সদস্যরা। এসি সার্ভিসিং সংস্থার কর্মীরাও সাপ বের করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত বন বিভাগের কর্মীরা গিয়ে সাপটি উদ্ধার করেন। রবিবার এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতে।
আরও পড়ুন: সাপে কামড়ালো কিশোরকে, মোবাইল গেমে ব্যস্ত থাকায় ভুলে গেল, মুর্শিদাবাদে কী ঘটল?
সাধারণত স্প্লিট এসির আউটডোর ইউনিটে প্রায়ই সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। তবে এসির ঘরের ভিতরে থাকা ইন্ডোর ইউনিটে সাপ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা খুব একটা সামনে আসে না। রবিবার বারাসতের নওপাড়ার ওই বাড়িতে এসির ইন্ডোর ইউনিট থেকেই সাপ উদ্ধার হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। যদিও সাপটি বিষাক্ত ছিল না বলেই জানিয়েছেন বাড়ির বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, নওপাড়ার বাসিন্দা একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী তাপস বৈদ্য বাড়ির এসিতে সাপ দেখতে পান। তিনি জানান, শনিবার রাতে তাঁর মেয়ে এসি চালু করেছিল। এসি চালাতেই কড়কড় করে একটি আওয়াজ পাওয়া যায় এসি থেকে। প্রথমে ভেবেছিলেন এসিতে কোনও সমস্যা হয়েছে। কিন্তু, এসির কাছে যেতেই শিউরে ওঠেন তাপস। তিনি দেখেন, এসির ভিতর থেকে কিছু একটা উঁকি মারছে। আরও ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারেন আসলে সেটি হল একটি আস্ত সাপ। কিন্তু, সেদিন তাঁরা কোনওভাবেই এসির ভিতর থেকে সাপ বের করতে পারেননি। ফলে শনিবার রাত আতঙ্কে কাটে তাদের।
পরের দিন রবিবার তিনি এসির টেকনিশিয়ানদের ফোন করেন। তাঁরা এসে সাপটিকে এসির ইন্ডোর ইউনিট থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। শেষপর্যন্ত তাঁরা ঝুঁকি নিতে পারেননি। পরে তাপস বন বিভাগকে খবর দেন। তবে বন বিভাগকেও সাপটি বের করতে হিমশিম খেতে হয়। কারণ সাপটি ইন্ডোরের এভাপরেটর বা কুলিং কয়েলের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। যার ফলে সাপটিকে টেনে বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল বন বিভাগের কর্মীদের। শেষমেশ তাঁরা সাপটি ইউনিটের ভিতর থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে সাপটি পালিয়ে যায়।
বন বিভাগের এক আধিকারিক জানান, সাপটি খাবারের সন্ধানে ইন্ডোর ইউনিটে প্রবেশ করেছিল। মূলত টিকটিকি এবং পোকামাকড় শিকারের উদ্দেশ্যেই সাপটি কোনওভাবে সেখানে প্রবেশ করেছিল। তবে সাপটি বেরিয়ে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পরিবারের সদস্যরা।