একনাগাড়ে বৃষ্টিপাতের জেরে আবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তাই পাহাড়ি পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থা হয়েছে। গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। তার জেরে কালিম্পং এবং সিকিম যাওয়ার লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের নানা জায়গায় ধস নেমেছে। পাহাড় থেকে তুমুল শব্দে নেমে আসছে বড় বড় পাথর এবং বোল্ডার। আর তা পড়ে ভেঙে পড়েছে একাধিক রাস্তা। যান চলাচলের উপর বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। আবার হেলিকপ্টার পরিষেবা আচমকা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল সিকিম সরকার।
এদিকে পর্যটনের উন্নতিতে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে চালু করা হয়েছিল হেলিকপ্টার পরিষেবা। আবহাওয়া খারাপের জেরে হেলিকপ্টার উড়তে পারছে না। সুতরাং বিপদের আশঙ্কা আছে। আর তাই বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক ডবল ইঞ্জিনের ওই হেলিকপ্টার পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সড়কপথে শিলিগুড়ি–গ্যাংটকের দূরত্ব ১২০ কিমি। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যেতে গাড়িতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগে। যানজট অথবা রাস্তা খারাপ থাকলে গন্তব্যে পৌঁছনো কঠিন হয়। তাই পর্যটকরা যাতে কম সময়ে সিকিমে পৌঁছতে পারেন তার জন্য গ্যাংটকের নিকট বুরতুক হেলিপ্যাডের পরিকাঠামো উন্নত করে এমআই–১৭২ হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করে সিকিম সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: উৎসবের মেজাজে ভোট কালীগঞ্জে, নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতে উপনির্বাচন, নালিশও আছে
অন্যদিকে এই নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে মেল্লি এবং কির্নে অঞ্চলের মাঝের রাস্তা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই পথে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। লিকুভিড়ের কাছের এলাকায় পাহাড় থেকে লাগাতার পাথর গড়িয়ে পড়ছে। তাতে বিপদের আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছে। তাই ওখানে মোতায়েন করা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। পরিস্থিতি দেখেই মিলছে যান চলাচলের অনুমতি। সিকিমের পর্যটন এবং অসামরিক বিমান চলাচল দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সিএস রাও জানান, সিকিমে যাঁরা বেড়াতে আসেন, সড়কপথে যাতায়াতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই কপ্টারে যাত্রী হচ্ছে না। আবার খারাপ আবহাওয়ার জেরে হেলিকপ্টার উড়তে পারছে না।