২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে এখন নেতা–কর্মীরা শুরু করেছে দলবদল। কিছু নেতা–কর্মী যেমন বিজেপিতে যাচ্ছে তেমনই বিপুল পরিমাণ নেতা–কর্মী–সমর্থক বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। আর ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসবে ততই হেভিওয়েট নেতাদের ফুলবদল করতে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এবার বিজেপিতে বড় ভাঙন ধরল। শতাধিক নেতা–কর্মী গেরুয়া সংস্রব ত্যাগ করে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন।
এবার বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে আবার ভাঙন দেখা দিল বিজেপিতে। হালিশহরের হাজিনগর এলাকার ১৮৩ জন বিজেপি নেতা–কর্মী গেরুয়া সংস্রব ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। একদিন আগেই রাতে হালিশহর মঙ্গলদীপ ভবনে বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা–কর্মীদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হালিশহরের চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ, কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী, হালিশহর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রবীর সরকার–সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় জন্ম নিল তেজস্বী যাদবের সন্তান, হাসপাতালে গিয়ে দেখলেন মমতা, কী বললেন?
এদিকে সামনেই কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়ে মাস্টারস্টোক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি এখনও কাকে প্রার্থী করবে খুঁজে পাচ্ছে না। সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট করে লড়বে নাকি পৃথকভাবে লড়বে সেটাই ঠিক করতে পারেনি। তবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সকলেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেবে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তার আগেই উত্তর ২৪ পরগনায় এমন ভাঙন বেশ চাপে ফেলে দিল বিজেপিকে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অন্যদিকে একের পর এক সমবায় নির্বাচনও জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বড় নেতা জন বারলা সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির ৭৭ জন বিধায়ক থেকে ৬৫–তে নেমেছে। সাংসদ ১৮ থেকে ১২ হয়েছে। তারপর নেতা–কর্মীরাও ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এই আবহে হালিশহর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রবীর সরকার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘সব মিলিয়ে এদিন ১৮৩ জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।’ আর বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বক্তব্য, ‘মানুষ দলে দলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসছে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যে বহু আবেদন জমা পড়েছে।’