জেলা সভাপতির পদ তুলে দিয়ে বীরভূমে দল পরিচালনার জন্য ৯ সদস্যের কোর কমিটির ওপরেই ভরসা রেখেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে জেলা সভাপতির পদ হারিয়ে এখন ৯ জনের এক জন হয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গত ১৬ মে তৃণমূলের তরফে এই ঘোষণার পর থেকেই বীরভূম জেলা জুড়ে যেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। শুধু গত কয়েক দিনেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২৫০ পরিবার দলবদল করেছেন।
রবিবার রামপুরহাটে মিছিল করেন অনুব্রত মণ্ডল। তার পর নলহাটিতে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে বেশ কয়েকটি পরিবার। সোমবার নলহাটির বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২৭০ জন বিজেপিতে যোগদান করেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘তৃণমূলের কোন্দলে তাদের তৃণমূল স্তরের কর্মীরাই অতিষ্ঠ। এরা নিজেরাই নিজেদের প্রাণের শত্রু হয়ে গিয়েছে। সেটা বুঝতে পেরে মানুষ বিজেপির হাত ধরছে। এতো সবে শুরু ভবিষ্যতে আরও বড় বড় যোগদান হবে। বীরভূমে তৃণমূল ভেঙে খান খান হয়ে যাবে।’
অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর বীরভূমে তৃণমূলের নিচের তলার কর্মীরা অনিশ্চয়তায় ভুগতে শুরু করেছেন। অনেকেই বুঝতে পারছেন না তাদের নেতা কে। আর কোর কমিটির প্রায় প্রত্যেক সদস্য কেউ কারও নাম নিচ্ছেন না। প্রত্যেকেই বলছেন, আমার নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবে দলে একাধিক সমান্তরাল ক্ষমতার কেন্দ্র তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া অনুব্রত অনুগামীরা অনেকেই তাঁর জেলা সভাপতি পদ চলে যাওয়ায় বিমর্ষ। কাজল গোষ্ঠীর বিরদ্ধে লড়তে এখন তাদের ভরসা বিজেপি।