রাজ্যে এবার ভিনরাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের দায়িত্বে বিধানসভা নির্বাচন করানোর দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধূলিয়ান ও সামসেরগঞ্জ দাঙ্গা নিয়ে আদালত গঠিত অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এই দাবি করলেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর দাবি, এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের আগাপাশতলা পক্ষপাতদুষ্ট। তাই পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষা ভিনরাজ্য থেকে পুলিশ আধিকারিক এনে বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের দায়িত্বে ভোট করাক কমিশন।
সোমবার বিকেলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘ধূলিয়ান, সামসেরগঞ্জের অমানবিক ঘটনার পরে যে সিট রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে ওখান আর্ত – পীড়িত লোকেরা থানার আধিকারিকদের ফোন করেছে। ফোন ধরেনি। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের দিন ও আগের দিন ওসি থেকে শুরু করে এসপি পর্যন্ত কোনও পুলিশ আধিকারিক বিরোধীদের ফোন ধরেন না। আজকে সেটা সিটের রিপোর্টে প্রমাণ হয়েছে।'
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ''আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিসেম্বর মাস থেকে পুলিশে বদলি শুরু হবে। ওসি - আইসি থেকে ডিআইজি পর্যন্ত পুরো ব্যবস্থাটা দূষিত। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। তারা এই কাজ দিনের পর দিন করেছেন। আমাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কার্যপ্রণালীর বদল ঘটাক। আপনি যে কোনও রাজ্য থেকে পুলিশ আধিকারিক এনে ওসি, আইসি, ডিজিপি পদে বসান। নইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে বসান। আমরা সুবিধা চাই না, আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন চাই।’
বলে রাখি, মুর্শিদাবাদ দাঙ্গা নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিনিধি ও রাজ্য আইনি সেবার ২ বরিষ্ঠ আধিকারিককে নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কমিটি আদালতে ভয়াবহ রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সামসেরগঞ্জের বেতবোনা গ্রামের আক্রান্তরা পর পর ২ দিন সামসেরগঞ্জ থানার ওসিকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।