কাকদ্বীপে টাকার বিনিময়ে কারচুপি করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানান তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা। সেখানে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করার এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই।’
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘অরুণ গড়াই কেস একটা বিশাল দুর্নীতি। এই দুর্নীতি সমস্ত জেলা ও মহকুমায় আইপ্যাককে সাথে নিয়ে তৃণমূলের লোকেরা ও তৃণমূলের ভুয়ো OBC সার্টিফিকেট দিয়ে যারা বিডিও হয়েছেন। আইনে স্পষ্ট রয়েছে যে যে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থায় দুর্নীতি হলে তার তদন্ত করবে সিবিআই। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রীয় সংস্থা। তাই যদি হয় তাহলে অরুণ গড়াইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত রাজ্যের সংস্থা কোন অধিকারে করতে পারে? কেন সিবিআই তদন্ত করবে না? আমরা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই। অরুণ গড়াইও সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে।’
শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘এই ঘটনায় কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক মধুসূদন মণ্ডল ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাইপো DM সুমিত গুপ্তা এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত। অরুণ গড়াইয়ের বিরুদ্ধে যাদের নাম ভোটার তালিকায় তোলার অভিযোগ উঠেছে তারা ক্যামেরার সামনে বলেছেন যে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছি।’
বলে রাখি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে লগ ইন পাসওয়ার্ডের অপব্যবহার করে অন্তত ৩ জনের নাম ভোটার তালিকায় তোলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে নির্বাচন কমিশনে অ্যসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াইয়ের বিরুদ্ধে। এর পর তাঁকে সাসপেন্ড করেছে কমিশন। এই ঘটনায় কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরের ৩ আধিকারিকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে। ওদিকে যাদের নাম বেআইনিভাবে তালিকায় তোলা হয়েছে তাদের দাবি, তৃণমূল নেতাকে ১০ হাজার টাকা দিলেই নাম উঠে যাচ্ছে ভোটার তালিকায়।