পরিত্যক্ত শৌচালয় থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় এবার চাঞ্চল্য ছড়াল নদীয়া এলাকায়। শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভাজনঘাটের একটি পরিত্যক্ত শৌচালয় থেকে পাওয়া যায় ঝুলন্ত কঙ্কাল। ভাজনঘাট পঞ্চায়েতের ফার্মের মাঠে রাস্তার ধারে অবস্থিত ওই কঙ্কালটি। স্থানীয়দের দাবি, ওই কঙ্কালটি মানুষেরই। এর পরই এলাকায় বিষয়টি চাঞ্চল্য ছড়াতে থাকে। স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন পুলিশ। কঙ্কালটি উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
যেসব প্রশ্ন উঠে আসছে
কিন্তু স্থানীয়দের প্রাথমিকভাবে প্রশ্ন, কঙ্কালটি ওখানে পৌঁছাল কীভাবে। আদৌ কি কঙ্কালটি নতুন না বহু পুরনো? কেউ গোপনে শৌচালয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন কি না, সেই তত্ত্বও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়দের অনেকের দাবি, কাউকে হত্যা করে সেখানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। যেহেতু পরিত্যক্ত তাই সহজে সেখানে কারও পৌঁছানোর কথা নয়। কিন্তু মৃতদেহ পচনের গন্ধ সাম্প্রতিক এলাকার কেউ পেয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন - নেশার বিপক্ষে আমরা, সিসিটিভির দাবি করছি! যাদবপুরের ছাত্রী মৃত্যুর পরে দাবি SFI-র
দ্রুত তদন্ত করার দাবি
পুলিশের তরফে উঠে আসছে নিখোঁজের ডায়েরির কথা। গত চার মাসে ওই থানা এলাকায় কেউ নিখোঁজের কোনও ডায়েরি করেননি। ফলে এলাকার কোনও মানুষের কঙ্কাল হওয়ার সম্ভাবনা কম। এর জেরেই রহস্য আরও ঘনাচ্ছে। আশেপাশে বা দূরের কোনও এলাকা থেকে কোনও দুষ্কৃতী এই কঙ্কাল এখানে এনে গোপনে রেখেছিল কি না সেই তত্ত্বও খারিজ করে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। স্থানীয়দের তরফে এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করার দাবি তোলা হয়েছে। কার কঙ্কাল, তা জানতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখবেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন - ‘গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয়েছিল’, আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু কি খুন?
জুলাই মাসে চুঁচুড়ায় উদ্ধার খুলি
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসেও এমন কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছিল নদীয়ার পাশের জেলা হুগলির চুঁচুড়া থেকে। স্থানীয় পৌরকর্মীরা সেই কঙ্কাল উদ্ধার করেন পৌরভ্যাট থেকে। সকাল সকাল সাফাই করতে গিয়ে একটি কালো পলিথিন ব্যাগ দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সেই ব্যাগটি খুলতেই বেরিয়ে পড়েছিল একটি খুলি। এই ঘটনা এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এবার আস্ত কঙ্কালেরই খোঁজ মিলল নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায়।