উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ায় যে মহিলার ভাড়া বাড়ি থেকে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের চাঁই মনোজ গুপ্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, সেই মহিলার গতিবিধিকে কেন্দ্র করে ক্রমশ সন্দেহ দানা বাঁধছে। মনোজের গ্রেফতারির পর দিন থেকেই বাড়িতে তালা দিয়ে বেপাত্তা মহিলা। ওদিকে স্থানীয়দের দাবি, মহিলার বাড়িতে যাতায়াত ছিল বাংলাদেশিদের। যে জায়গায় মহিলা ভাড়া থাকতেন সেখান থেকে টোটোয় করে পৌঁছে যাওয়া যায় বাংলাদেশ সীমান্তে।
রবিবার গাইঘাটা থানা এলাকার চাঁদপাড়ায় এক মহিলার ভাড়া বাড়ি থেকে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের পান্ডা মনোজ গুপ্তকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহিলা জানান, তিনি মনোজকে চেনেন না। এক পরিচিত ভাইয়ের কথায় তাঁকে কয়েকদিনের জন্য বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন তিনি। একথা বলার পরদিন সোমবার বেপাত্তা হয়ে যান মহিলা। ওদিকে স্থানীয়দের দাবি, মহিলার সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের যোগসাজস রয়েছে। মাঝে মাঝেই তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করত বাংলাদেশিরা। মনোজেরও তার বাড়িতে যাতায়াত ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ওদিকে যে জায়গায় মহিলা ভাড়া থাকেন সেখান থেকে ভারত - বাংলাদেশ ঝাউডাঙা সীমান্তের দূরত্ব মেরে কেটে ৮ কিলোমিটার। টোটোয় করে সেখান থেকে পৌঁছে যাওয়া যায় সীমান্তে। শুধু তাই নয়, এলাকায় একাধিক ব্যক্তি একাধিক নামে চেনেন মহিলাকে। কেউ চেনেন সুমনা মল্লিক, কেউ পূর্ণিমা চৌধুরী, কেউ আবার চেনেন সীমা নামে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, কেন পঞ্চায়েতকে না জানিয়ে বাড়িভাড়া দেওয়া হল তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হবে বাড়ির মালিককে। ওদিকে ঘটনার পর থেকে কাঁটা হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। অচেনা লোক দেখলেই থানায় ফোন করছেন স্থানীয়রা।