মুর্শিদাবাদে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বেলডাঙা পূর্ব পাড়ার ব্লক সভাপতি পদে মাঞ্জু শেখকে বসানো নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে ব্লক সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হলে সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ, বিষ দিয়েই কি হত্যা? তদন্তে পুলিশ
রবিউল ইসলাম সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, যিনি খুনের মামলায় অভিযুক্ত, যিনি এতদিন পালিয়ে বেড়িয়েছেন, এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও যার জামিন খারিজ হয়েছে, তাঁকে কীভাবে ব্লকের সভাপতি করা হল? এর ফলে সংগঠনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমি বিষয়টি নেত্রী ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানাব। তাঁকে অবিলম্বে ওই পদ থেকে সরানো উচিত। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর বক্তব্য, এখানে কোথায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? রেজিনগরের বিধায়ক হঠাৎ এত কথা বলছেন কেন? মাঞ্জু শেখ তো গত দুই বছর ধরেই ব্লক সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। তখন তো কোনও আপত্তি তুলেননি। তিনি খুনে অভিযুক্ত, সেটা আগে থেকে জানা ছিল না? জেলা নেতৃত্বকে বা প্রশাসনকে আগে জানাননি কেন? আজ হঠাৎ করে নির্বোধের মতো কথা বলা হচ্ছে। ব্লক সভাপতি হওয়ার সিদ্ধান্ত শুধু নেত্রী ও শীর্ষ নেতৃত্বই নেন।