স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। মাঝখানে তার কোনও কাজ ছিল না। তার শ্যালক গুজরাটের সুরাটে একটি শাড়ির দোকানে কাজ করেন। সেখানেই তার জন্য কাজের ব্যবস্থা করেছিলেন তার শ্যালক। সেই সূত্র ধরেই তিনি সুরাটে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার ট্রেনে করে সুরাটে রওনা দিয়েছিলেন সুনীল মুর্মু।
ট্রেনের শৌচালয়ে আত্মঘাতী পরিযায়ী শ্রমিক। প্রতীকী ছবি
বাঁকুড়ার পর এবার ট্রেনের মধ্যে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল বালুরঘাটের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। বাড়ি থেকে ট্রেনে করে তিনি ভিন রাজ্যে কাজে যাচ্ছিলেন। তখনই ট্রেনের শৌচালয় থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন বছর ৩৫–এর পরিযায়ী শ্রমিক সুনীল মুর্মু। তিনি বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছি ফরেস্ট পাড়ার বাসিন্দা। রবিবার সকালে তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর দেয় জিআরপি। পরিবারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সদস্যদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। মাঝখানে তার কোনও কাজ ছিল না। তার শ্যালক গুজরাটের সুরাটে একটি শাড়ির দোকানে কাজ করেন। সেখানেই তার জন্য কাজের ব্যবস্থা করেছিলেন তার শ্যালক। সেই সূত্র ধরেই তিনি সুরাটে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার ট্রেনে করে সুরাটে রওনা দিয়েছিলেন সুনীল মুর্মু। তবে রবিবার সুরাট স্টেশনে জিআরপি ট্রেন থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান। পুলিশের থেকে জানা গিয়েছে হাওড়া থেকে তিনি ট্রেনে উঠেছিলেন। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেননি পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার রাত এবং শনিবার সারাদিন ট্রেনে ছিলেন। রবিবার ভোরে ট্রেনের শৌচালয়ে গিয়েছিলেন তারপরে আর তিনি নিজের সিটে ফেরেননি।