নিখোঁজ ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। খোঁজ করা হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। এবার রবিবাসরীয় সকালে এল শোকের খবর। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রায় ৬২ ঘন্টা পেরিয়ে যেতে উদ্ধার হল মাতলা নদীর চর থেকে নিখোঁজ হওয়া পর্যটক প্রীতম পানুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কেমন করে নদীর চরে এল দেহ? এটা খুন নাকি দুর্ঘটনা? এই ঘটনার পিছনে কারও হাত আছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজে পেতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ গোপালগঞ্জের নবিপুকুর মাতলা নদীর চরে দেখা গেল নিখোঁজ পর্যটক প্রীতম পানুয়ার দেহ। বন্ধুদের সঙ্গে তিনি পিকনিক করতে এসেছিলেন। কিন্তু পিকনিক সেরে আর বাড়ি ফেরা হল না। বাকি বন্ধু যাঁরা তাঁর সঙ্গে পিকনিক করতে এসেছিলেন তাঁদের দাবি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পা পিছলে পড়ে যায় মাতলা নদীতে। কিন্তু বন্ধুরা সবাই এই কথা বললেও পরিবারের সদস্যরা তা মেনে নিতে নারাজ। এতজন বন্ধু থাকতে একজন এভাবে পড়ে তলিয়ে গেল কেমন করে? প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত সিভিক ভলান্টিয়ার পড়ে নদীতে তলিয়ে যেতে পারে না বলে পরিবারের দাবি।
আরও পড়ুন: হরিজন সমাজ দখল করে রেখেছে কমিউনিটি হল, উদ্ধারে পুলিশের দুয়ারে শিলিগুড়ি পুরসভা
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলতুলি ব্লকের কৈখালি জেটিঘাটের পাশেই মাতলা নদীতে নৌকা থেকে পড়ে গিয়েছিল সুন্দরবনে পিকনিক করতে আসা পর্যটক প্রীতম পানুয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলপি থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে ১১ জনের দল আসে সুন্দরবনে পিকনিক করতে। এখানে এসে তাঁরা কৈখালি জেটিঘাটের পাশে নৌকায় উঠতে যান। তখন সেখান থেকে পড়ে যায় প্রীতম। পেশায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ছিলেন। ওই দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে কুলতুলি থানার পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্স তল্লাশি অভিযান শুরু করে। আজ সেই দেহ ভেসে উঠল।