দলীয় মিছিলে লোক না আনতে পারলে না জুটবে না ‘মাল’-এর ভাগ। দলীয় বৈঠকে তৃণমূলের বুথ স্তরের নেতাদের এমনই হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বাহারুল খানকে। শওকত মোল্লাকে পাশা বসিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। যার তুমুল সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা।ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খান খুনের প্রতিবাদে বুধবার সেখানে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছে তৃণমূল। আর সেই মিছিলের প্রস্তুতি সভায় লোক জোটাতে সরাসরি ‘মাল’এর টোপ তৃণমূল নেতার। বৈঠকে বাহারুল শেখ বলেন, ‘কালকের মিছিলে যে বুথ সব থেকে বেশি লোক আনতে পারবে তাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রাইজ দেব। বুথের লোক একসঙ্গে বার করে ছবি তুলে তার পরে তোমরা রাস্তায় নামবে। শেষ পর্যন্ত সেই লোকগুলোর থাকানোর দায়িত্ব সেই নেতার। যে বুথ ছবি দেবে না, আগামীতে যে মাল আসবে সেই মাল থেকে তারা বঞ্চিত হবে।’তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের তো কোনও নীতি আদর্শ নেই। ওই দলে মালই মোক্ষ। সবাই ওই জন্যই দলটা করে। টাকা রোজগার বন্ধ হয়ে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন।’