উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষায় স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন এসেছে। একেবারে জলের মতো সোজা আসেনি। আবার এমনও কঠিন করা হয়নি যে ছাত্র-ছাত্রীরা হাত দিতে পারবেন না। উচ্চমাধ্যমিকের মতো স্তরে যেরকম মানের প্রশ্ন আসার কথা, সেরকমই হয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন, প্র্যাকটিস করেছেন, তাঁদের পরীক্ষা ভালো হবে। জলপাইগুড়ির ইংরেজি শিক্ষিকা ঐন্দ্রিলা বণিকের কথায়, ‘এবার উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজির প্রশ্নপত্র খুব ভালো হয়েছে। এরকম নয় যে খুব সহজ হয়েছে বা খুব শক্ত হয়েছে। এমন ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে, যেখানে সব ধরনের ছাত্র-ছাত্রীদের মান যাচাই করা যাবে।’
ছোট প্রশ্নগুলি কি কঠিন এসেছে?
ইংরেজি শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ১২ নম্বরের যে এমসিকিউ থাকে, সেখান থেকে খুব ভালো প্রশ্ন এসেছে। ওই অংশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো নম্বর তুলতে পারবেন। টেস্ট পেপার বা বিভিন্ন কোয়েশ্চেন ব্যাঙ্কে যেরকম প্রশ্ন থাকে বা ক্লাসে যেমন পড়ানো হয়, সেরকমই প্রশ্ন এসেছে। আবার এসএকিউ প্রশ্নও ভালো এসেছে। যাঁরা ভালো করে বই পড়েছেন এবং টেস্ট পেপার সলভ করেছেন, তাঁরা প্রতিটি শর্ট প্রশ্নই কমন পেয়েছেন।
বড় প্রশ্নের উত্তর দিতে কি বেগ পেতে হয়েছে?
তিনি জানিয়েছেন, ড্রামা থেকে একটা ক্যারেক্টার বেসড বড় প্রশ্ন এসেছে। ওটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফলে প্রচুর প্র্যাকটিস করানো হয়েছিল। আর সেই প্রশ্নটা এসেছে। প্রোজ এবং পোয়েট্রি থেকে দু'টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। লাইন তুলে প্রশ্ন এসেছে। যাঁরা বইটা ভালো ফলো করেছেন, যাঁরা ক্লাস করেছেন ঠিক করে, তাঁদের কোনও অসুবিধা হবে না। টেস্টের প্রশ্নও রিপিট করা হয়েছে।
গ্রামারটা কি একটু কঠিন ছিল?
অন্যান্য অংশের মতোও গ্রামারের প্রশ্ন সহজ ছিল বলে জানিয়েছেন ইংরেজির শিক্ষিকা। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামারে ১০ নম্বর থাকে। ন্যারেশন, ভয়েস চেঞ্জ মিলিয়ে ছয় নম্বর ছিল। যাঁরা গ্রামারের নিয়মকানুন জানেন, তাঁরা ছ'টি প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছেন। কোনও কঠিন প্রশ্ন ছিল না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আবার বইয়ের লাইন তুলে দিয়েই আর্টিক্যাল এবং প্রিপোজিশনের অংশের প্রশ্নগুলি এসেছে। ওই একই কথা বলতে হয় - যাঁরা ভালোভাবে বই পড়েছেন, টেস্ট পেপার সলভ করেছেন, তাঁরা সহজে পারবেন। অজানা কিছু ছিল না। অন্যদিকে কারেক্ট দ্য সেন্টেন্স ছিল। বাক্যে কোনও ভুল থাকলে সেটা চিহ্নিত করতে হয়েছে। ওই অংশটা সহজও ছিল।
আনসিন ভালোভাবে পড়লেই উত্তর দেওয়া যাবে, মত শিক্ষিকার
ইংরেজির শিক্ষিকা জানিয়েছেন, আনসিন অংশে ১০ নম্বর থাকে। প্যাসেজের মধ্যে মেরেকেটে দু'একটা অজানা শব্দ ছিল। ওই নির্দিষ্ট শব্দটা বুঝতে না পারলেও তিন-চারবার আনসিন প্যাসেজটা পড়লেই উত্তর দেওয়া যাবে। ‘ট্রু এবং ফলস’-র জন্য চার নম্বর বরাদ্দ করা হয়। সেটা সহজ ছিল। সেইসঙ্গে ছিল ছ'টি প্রশ্ন। যাঁরা মাঝারি মানের পড়ুুয়া, তাঁদের হয়তো দু'একটা প্রশ্ন কঠিন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে আনসিনটা সহজই ছিল।
আরও পড়ুন: Higher Secondary 2025: মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে! ধরা পড়ে গেলেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
রাইটিং কি সহজ ছিল?
শিক্ষিকা জানিয়েছেন, রাইটিংয়ে ১০ নম্বর ছিল। তিনটির মধ্যে একটি লিখতে হত। প্রথমেই রিপোর্টিং ছিল। ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প নিয়ে লিখতে দেওয়া হয়েছিল। যে টপিকটা একেবারেই কমন। রিপোর্টিংয়ের বিকল্প হিসেবে লেটার রাইটিং ছিল। স্কুলের লাইব্রেরিতে যাতে আরও রেফারেন্স বুক থাকে, সেই আর্জি জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকাকে চিঠি লিখতে হত। এটাও বেশ সুন্দর। যাঁরা মূল কাঠামোটা জানেন, তাঁরাও সহজেই লিখতে পারবেন। সেইসঙ্গে প্রেসি ছিল। যাঁদের প্রেসিটা কঠিন মনে হয়েছে, তাঁরা লেটার রাইটিং বা রিপোর্টিং লিখতে পারবেন।