ধাপে ধাপে সাজানো রয়েছে চালের বস্তা। আর সেই বস্তা সরাতেই বেরিয়ে এলো লরি ভর্তি বর্মাটিক সেগুন কাঠ। আসলে চালের বস্তার আড়ালে লক্ষাধিক টাকার এই সেগুন কাঠগুলি পাচার করা হচ্ছিল। তবে পাচারকারীদের সেই উদ্দেশ্য বানচাল করল বন বিভাগ। এই সমস্ত সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া লরির চালককেও গ্রেফতার করেছে বন বিভাগ। আজ শনিবার ভোরে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ৩১ নং জাতীয় সড়কের করতোয়া এলাকা থেকে সেগুন কাঠ-সহ গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে বন বিভাগ।
জানা গিয়েছে, গোপন সুত্রে খবর আজ ভোর রাতে বেলাকোবা বনদফতরের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ৩১ নং জাতীয় সড়কের করতোয়া এলাকায় হানা দেন বনকর্মীরা। এরপরে বিহারের নম্বর প্লেট থাকা ওই লরিটি আটক করে বেলাকোবা বন বিভাগ। পুলিশ এবং বন বিভাগের চোখে ধুলো দিতে লরিটি পুরোটাই একটি কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। কাপড় সরিয়ে বন বিভাগ কর্মীরা দেখেন সেখানে শুধু রয়েছে চালের বস্তা। এরপর চালের বস্তা সরাতেই চক্ষু চড়কগাছ বনকর্মীদের। বস্তা সরাতেই বেরিয়ে আসে প্রচুর বার্মাটিক সেগুন কাঠ। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।