হুগলির সিঙ্গুরে এক নার্সিংহোমে তরুণী নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার গভীর রাতে বোড়াই তেমাথা এলাকার ‘শিবম সেবাসদন’ নার্সিংহোমের চারতলার একটি কক্ষ থেকে ওই নার্সের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম দীপালি জানা (২৪)। তিনি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের রায়নগরে। পরিবারের অভিযোগ, হবে পিছনে গভীর রহস্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হিমাচলের ছাত্রের মৃত্যু, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে বেঙ্গালুরু থেকে নার্সিং পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরেন দীপালি। এক বান্ধবীর মাধ্যমে ওই নার্সিংহোমে কাজের সুযোগ পান। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় যে দীপালি গলায় ফাঁস দিয়েছেন। খবর পেয়েই পরিবারের সদস্যরা রাতেই ছুটে আসেন সিঙ্গুরে, তবে পৌঁছনোর আগেই পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দীপালির বাবা সুকুমার জানা অভিযোগ করেন, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কোনওভাবেই সে আত্মহত্যা করতে পারে না। দীপালির এক সহকর্মী মল্লিকা বাউরি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। জানালা দিয়ে উঁকি মেরে তিনি দেখতে পান, সিলিং থেকে ঝুলছেন দীপালি। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কথা বললেও পরিবার সরাসরি খুনের অভিযোগ তুলেছে। তাঁরা নার্সিংহোমের মালিকের শাস্তির দাবি করেছেন।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় নার্সিংহোম চত্বরে। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় বলেন, ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। খুনের অভিযোগ লিখিত আকারে পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।