
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
এআইসিসি অধীর চৌধুরীর চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিয়েছে। এখন অধীররঞ্জন চৌধুরী আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নন। তিনি সাংসদও নন। দুই পদের ক্ষেত্রেই তিনি প্রাক্তন। তাহলে নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে হবেন? সেটা খোঁজ চলছে বলে এআইসিসি সূত্রে খবর। তবে নানারকম গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই আবহে সেই অধীররঞ্জন চৌধুরীর পক্ষেই সওয়াল করলেন মালদার বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। তিনি চান এখনও অধীররঞ্জন চৌধুরীই থাক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যদিও তাঁর চাওয়া বা না চাওয়ায় সিদ্ধান্ত বদল হবে না বলেই জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ডালুবাবুর ছেলে ইশা খান চৌধুরীর নাম উঠে আসছে। তিনি হতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যদিও প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালুবাবুকে এই বিষয়ে এক প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘জোর করে কাউকে রিজাইন করানো যায় না। অধীরই থাকুক।‘ তাহলে ইশা খান হবেন না? ডালুবাবুর বক্তব্য, ‘আমার ছেলে ইশা খান সদ্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ইশা এখনও অপরিণত। রাজ্য সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা তাঁর নেই। এই পদে থাকলে অনেক কাজ করতে হয়। যেটা ইশা পারবেন না। আগে পরিণত হোক, তার পর।’
আরও পড়ুন: আজ থেকে শহরে অতীত বহু বাস, ১৫ বছরের পুরনো যানবাহন বাতিলের কাজ শুরু
এখন নতুন প্রজন্মের নেতা–নেত্রীকেই সব রাজনৈতিক দলে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সেদিক থেকে দেখলে ইশা খান চৌধুরী তরুণ–তুর্কি নেতা। নয়াদিল্লি–কলকাতা–মালদা সবটাই সামলাতে পারবেন। বরং তাঁকে দেখে নতুন প্রজন্মের ছেলে–মেয়েরা কংগ্রেসে আসতে পারেন। সেখানে এখনও প্রশ্ন জিইয়ে রয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কে হবেন? অধীর চৌধুরী নিজের কেন্দ্রে হেরে যাওয়ার পর তাঁর আর তেমন কোনও ক্যারিশ্মা নেই। ফলে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করে কোনও লাভ হবে না। এটা বুঝতে পেরেছে এআইসিসি। যদিও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম সমর্থন করেছেন অধীর চৌধুরীর। তাঁর বক্তব্য, ‘অধীর যখন আছেন তখন তাঁকে রাখলেই হয়। জোর করে কাউকে রিজাইন করানো যায় না।’
কিন্তু অধীরকে সরিয়ে দিতেই বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে দুই দল আলোচনায় বসলে তাঁর আপত্তি নেই। যদি কংগ্রেস চায়। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সদর দফতরে রাজ্যের সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। সঙ্গে ছিলেন বাংলার পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। সেখানেই মীর সরাসরি অধীরকে লোকসভার প্রাক্তন দলনেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলে উল্লেখ করেন। তাতেই হতাশা প্রকাশ করেন অধীর। এই পরিস্থিতিতে কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন এখন সেটাই দেখার।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports