পাবজির আসক্তি প্রাণ কেড়ে নিল পড়ুয়ার। পড়তে বসে পাবজি খেলছিল পড়ুয়া। তা দেখতে পেয়ে ছেলেকে বকাবকি করেন বাবা। আর তাতেই অভিমানে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণির ছাত্র। গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই পড়ুয়া। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, আয়ুষের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।মঙ্গলবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরের বাবুবাজার এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই পড়ুয়ার নাম আয়ুষ সাহা (১৩)। নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল আয়ুষ। মৃত ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিজের ঘরে পড়তে বসেছিল আয়ুষ। তবে পড়তে বসার সত্ত্বেও পড়াশোনা না করে মোবাইলে পাবজির মতো গেম খেলছিল সে। সেই সময় আয়ুষের বাবা তাকে গেম খেলতে দেখে ফেলেন। এই ঘটনার পরই তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন তিনি। পড়ার সময় গেম খেলার জন্য তাকে বকাবকিও করেন। এতেই অভিমান হয় তার। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ওই ছাত্র ঘরের মধ্যেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তার মায়ের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মঘাতী হয়। রাতের দিকে ওই ছাত্রের দাদু খাবারের জন্য ডাকতে এসে, তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তড়িঘড়ি সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। তবে চিকিৎসকেরা আয়ুষকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।