পায়ে এবং কোমরে দড়ি বাঁধা। কান ধরে করানো হচ্ছে ওঠবোস। সঙ্গে চলছে চড়-থাপ্পড়। একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে এভাবেই প্রকাশ্যে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর থানার অন্তর্গত পেঁড়ো গ্রামে। এই ঘটনার ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। তা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: একশো সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি জারি, দিঘায় জগন্নাথধাম ঘিরে কর্মসংস্থান
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় দুর্ব্যবহার এবং চুরির মতো একাধিক অনৈতিক কাজ করছিলেন। সম্প্রতি একটি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘিরে গ্রামে ক্ষোভ চরমে পৌঁছায়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় এই পরিণতি। স্থানীয়দের দাবি, গালিগালাজ থেকে শুরু করে বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার দিন কয়েক আগে তাঁকে ধরে এনে গ্রামবাসীরা নিজেই শাস্তি দেন। দড়ি দিয়ে বেঁধে জনসমক্ষে শারীরিক নিগ্রহ এবং লাঞ্ছনা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাওড়ার গ্রামীণ জেলার পুলিশ। পাশাপাশি ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানান, ‘আমরা ভিডিয়োটি হাতে পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যাঁরা ওই ব্যক্তিকে হেনস্থা করেছেন এবং যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে দু’পক্ষের দিকই বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।’
এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্কও তৈরি হয়েছে। বিজেপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিগ্রহের সঙ্গে জড়িত রয়েছে শাসক দলের লোকজন। বিজেপি নেতা রমেশ সাধুখাঁ জানান, এতে তৃণমূলের মদত রয়েছে। তবে শাসক শিবিরের তরফে স্পষ্ট বার্তা, কোনও পরিস্থিতিতেই আইন হাতে তুলে নেওয়া চলে না। উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্যাণ গায়েন জানান, সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আসছে, সেগুলো আগে থেকেই থানায় জানানো হয়েছিল। তবে তাকে বেঁধে মারধর করা বা জনসমক্ষে অপমান করা ঠিক হয়নি। আইন তার নিজস্ব পথে চলবে।