অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে এবার মিলল শুঁয়োপোকা। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কলমপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সেই খিচুড়ির মধ্যেই সেদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় শুঁয়োপোকাটি! ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। কেন্দ্রে হাজির হন সুপারভাইজার রুমি মণ্ডল। কিন্তু সেখানে গিয়েই তিনি পড়েন বিক্ষোভের মুখে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ঘিরে ধরেন তাঁকে। তাঁদের অভিযোগ, সেন্টারের মূল কর্মী দীপ্তি ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে আসেন না। তিনি মালদহ শহরে থাকেন, ফলে সহায়িকাই সেন্টার চালান। রান্নার মান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আগে থেকেই অসন্তোষ ছিল। এদিনের ঘটনার জেরে সেই অসন্তোষ আরও তীব্র হয়।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪০ শিশু
এক অভিভাবক জানান, পোকার এই ঘটনা একদিনের নয়। আগেও খিচুড়িতে আরশোলা, ধুলো-বালি পাওয়া গিয়েছে। চাল-ডাল পরিষ্কার করা হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প বলে বলে চালানো হচ্ছে।।কিন্তু ভিতরে চলছে গাফিলতি আর দুর্নীতি। সেন্টারের কর্মী দীপ্তি ভট্টাচার্য ঘটনার দায় নিতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। স্বামী অসুস্থ, তাই মালদায় আছেন। প্রতিদিন নিয়ম মেনেই রান্না হয়। তবে এই ব্যাখায় সন্তুষ্ট নন অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, এমন ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন তাঁরা।
সুপারভাইজার রুমি মণ্ডল জানান, এই ধরনের খাবার শিশুদের জন্য বিপজ্জনক। তিনি রিপোর্ট তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, একই ব্লকের শান্তিপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও কর্মী মুনি কুন্তলার বিরুদ্ধে উঠেছে নিয়মভঙ্গ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। অভিযোগ, তিনি সেন্টারের নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে নিজের মহেন্দ্রপুরের বাড়িতে কেন্দ্র চালাচ্ছেন। ফলে অভিভাবকদের রাজ্য সড়ক পার করে যেতে হয়, যা বিপজ্জনক। খাবার দেওয়া হয় দেরিতে, আবার দ্রুত সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেউ দেরি করে এলে তাঁকে খাবারও দেওয়া হয় না। কর্মী মুনি কুন্তলার পাল্টা বক্তব্য, শান্তিপাড়ায় সরকারি ভবন নেই। রান্নার জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাড়িতেই সেন্টার চালাচ্ছি। নিয়ম মেনেই কাজ করছেন।