নুঙ্গি, বজবজ, মহেশতলা এলাকার বেশ কয়েকটি বন্ধ দোকানের দরজা ভেঙে পুলিশ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে। ব্যাপক ধরপাকড় করে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর বিস্ফোরণের অকুস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তবে আজ গ্রামবাসীরা এখানের রাস্তা অবরোধ করেন। কারণ পুলিশ ধরপাকড় এবং অতিসক্রিয়তায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে।
উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি।
বজবজের মহেশতলায় বাজি কারখানার বিস্ফোরণ কেমন করে ঘটেছিল তদন্তে নেমে তার তথ্য পেল পুলিশ। একইসঙ্গে তদন্তে নেমে উদ্ধার করল ২০ হাজার কেজিরও বেশি বাজি। রবিবারের ঘটনায় রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর তখনই উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। মহেশতলা, বজবজ এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া বাজি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেআইনি বাজি উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা থেকে মোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। যে কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে ছাদের ঘরে মজুত করা ছিল বাজি এবং বাজির মশলা। তবে সবই নিষিদ্ধ শব্দবাজি। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানে চলছিল পুজোপাঠ। তাই জ্বালানো হয় মোমবাতি–ধূপ। তখনই আচমকা ধূপের আগুনের ফুলকি লেগে যায় বাজির মশলায়। আর তাতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে তিনজন মারা যান।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পরই ডিএসপি (ইন্ডাস্ট্রিয়াল) নিরুপম ঘোষের নেতৃত্বে মহেশতলা এবং বজবজ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে সমগ্র বাজিপাড়া জুড়ে ব্যাপক তল্লাশি চলে। শুরু হয় নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের কাজ। নুঙ্গি, বজবজ, মহেশতলা এলাকার বেশ কয়েকটি বন্ধ দোকানের দরজা ভেঙে পুলিশ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে। ব্যাপক ধরপাকড় করে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর বিস্ফোরণের অকুস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তবে আজ গ্রামবাসীরা এখানের রাস্তা অবরোধ করেন। কারণ পুলিশ ধরপাকড় এবং অতিসক্রিয়তায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। এমনকী গ্রামের পুরুষরা এখন বাড়িছাড়া হয়েছে ভয়ে।